তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি

উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত বাংলাদেশ

তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি

তৌহিদুল ইসলাম

হেনরি কিসিঞ্জার যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশকে বলেছিলেন তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু এখন স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে দেশ।  ২০৪০ সালের ভেতর দেশ উন্নত দেশের তালিকায় স্থান পাবে বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন।  

জিডিপি ক্রমশ বৃদ্ধি 

বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে সরকার।

২০১৫-১৬ সাল থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশ ধারাবাহিকভাবে উচ্চ জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে। যার বার্ষিক গড় ছিল ৭.৪ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা পৌঁছায় ৮.২ শতাংশে। কিন্তু করোনা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৪ শতাংশে নেমে আসে।

কোভিড-১৯–এর আন্তর্জাতিক সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের আর্থিক নীতি ও উদ্দীপনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে ফিরে আসে।

তার পরেই ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৭.২৫ শতাংশ। শিল্প ও পরিষেবা খাতে সরকারে ব্যাপক সহায়তার কারণেই এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে।

ফলাফল কোন দিকে 

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল সূচকগুলো সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংকের মান অনুযায়ী, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানি প্রশাসন ও সেনাবাহিনী দেশটিকে দেউলিয়া করে ফেলার পরও মাত্র ৫২ বছরে এ সাফল্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

গত ১৪ বছরে দেশের গড় জিডিপি ছিল ৬.৭ শতাংশ। ইউরোপীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক স্পেক্টেটর ইনডেক্সের মতে বাংলাদেশ ১৮৮ শতাংশ জিডিপি অর্জন করতে পেরেছে।  
করোনা মহামারির সময়ও যখন কিনা দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশই ছিল নেতিবাচক প্রবদ্ধির শিকার। তখন ৩.৪৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন ধরে রাখে বাংলাদেশ। অল্প সময়ের মধ্যেই, করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতি উচ্চ প্রবৃদ্ধির সঠিক গতিপথে ফিরে আসে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ৭.১০ শতাংশে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটি ছিল ৬.০৩ শতাংশ।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় থেকে ২০০৯ সালের হিসেবে দেখা যায় বাংলাদেশের জিডিপি ৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে লাফিয়ে ১০০ বিলিয়নে উন্নিত হয়েছে। জিডিপির আকার অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ছিল ৬০তম বৃহত্তম অর্থনীতি। এটি এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ২৪ তম বৃহত্তম উন্নত দেশে পরিণত হবে।  ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক, ‘সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনই মন্তব্য করা হয়েছে। তৈরি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির স্বার্থে রপ্তানি অনুপাতে ঋণ বজায় রাখার সরকারী নীতি এই সাফল্যের মূল কারণ।

কয়েকটি পদক্ষেপ

১) কর্মসংস্থান
কর্মসংস্থানের দিক থেকেও অভূতপূর্ণ সাফল্য দেখিয়েছে সরকার। ২০০৭ সালে দেশে মোট কর্মসংস্থান ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ। গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার ২ কোটি ৩৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালের শেষে মোট কর্মসংস্থান ৭ কোটি ১১ লাখে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। করোনাকালীন ছাঁটাই ধরেও বেকারত্বের হার ২০১০ সালের ৪.৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার ২০১৬ সালের ৩৬ শতাংশ ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২.৭ শতাংশ। যেকোনো দেশের সাফল্যের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমশক্তি গুরুত্বপূর্ণ।

২) মাথাপিছু আয়
মাথাপিছু আয়ের দিক থেকেও সরকার চমক দেখিয়েছে। ২০০৭-০৮-এর ৬৮৬ মার্কিন ডলার থেকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মাথাপিছু আয় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। এর মাধ্য দিয়ে আরেকটি রেকর্ডও সৃষ্টি হয়। বিশ্বের গড় আয় বৃদ্ধির ১৪ শতাংশ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কমে দারিদ্র্যের হারও। যেখানে ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। অতি-দারিদ্র্যের ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশ হয়ে অতি দারিদ্রতা কমেছে তিন-চতুর্থাংশ।

৩) বিদ্যুৎ উৎপাদন
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ‘প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ’- কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকেও নজর কেড়েছে সরকার। ২০০৯-১০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেখানে ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াটে।

৪) জ্বালানি খাত
জ্বালানি খাতেও সরকারের সাফল্য লক্ষ্য করার মতো। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং সৌর ও বায়ুর মতো বিকল্প শক্তি ব্যবহার করেছে সরকার। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ নির্মাণে বাংলাদেশ রাশিয়ান ফেডারেশনের স্টেট নিউক্লিয়ার এনার্জি করপোরেশন রোসাটমের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্পূর্ণরূপে চালু হলে, বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনকারী দেশগুলোর অভিজাত ক্লাবে যোগ দেবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট ক্ষমতা ২৪০০ মেগাওয়াট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৫) মা ও শিশু
মাতৃ ও শিশুমৃত্যুহার কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার ছিল ১৪১, এখন তা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। অর্থাৎ, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে ৮৫ শতাংশ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ছিল ৪১। ২০২১ সালে সেটা কমে দাঁড়ায় হাজারে ২২। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ২০০৫ সালে প্রতি হাজারে ৬৮ থেকে কমে ২০২১ সালে প্রতি হাজারে ২৮ হয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহারের দিক থেকে বড় ভুমিকা রেখেছে বাংলাদেশ। বিগত ৫০ বছরে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
এছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী এবং অনুরূপ দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নের সাফল্যের স্বীকৃতি পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অগ্রগতি পুরস্কার পেয়েছেন।

জলবায়ু পরিবর্তন, জঙ্গিবাদ, মিয়ানমার নিয়ে আমাদের ভূমিকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ। দেশের সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন গোটা দুনিয়ার কাছে সাফল্যের বড় উদাহরণ হয়ে ধরা দিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত স্থিতিশীল বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশের হাত ধরে যা সম্ভব হয়েছে। ২০০৮ সালের ৬৬ দশমিক ৮ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছর। ২০০৮ সালের সাক্ষরতার হার ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে হয়েছে ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রাথমিক শিক্ষায় তালিকাভুক্তির হার প্রায় ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।  কারিগরি শিক্ষার হার ২০১০ সালে মাত্র ১ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১৭ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং সমতাভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের প্রাক্কালে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল  ‘ভিশন ২০২১’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে এবং স্থাপিত হয়েছে উন্নত সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য টেকসই ভিত্তি। সবার জন্য সুবিধার সুষম বণ্টনের ওপর জোর দিয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির ভারসাম্য আনাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য।

কয়েকটি পরিকল্পনা
একটি দেশের উন্নয়নে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষভাবে জরুরি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোর উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যোগাযোগব্যবস্থায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল খুবই জরুরি। তাই যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়ে, ঢাকা মহানগর থেকে চাপ কমিয়ে সাব-স্মার্ট টাউন তৈরি করার প্রয়াস হাতে নিয়েছে সরকার।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে অবস্থান করছে পৃথিবী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির নতুন নতুন সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামোতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং স্বল্পদক্ষ উত্পাদনকে একটি আধা-দক্ষ পরিবেশে উন্নতি করারও চেষ্টা চালাচ্ছে বর্তমান সরকার।

স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ
২০৪১ সালের মধ্যে আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি প্রধান স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট অর্থনীতি।  স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার হবে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল  তার সময়ে আশা প্রকাশ করেন। এ সময়ে ৩ শতাংশেরও কম মানুষ থাকবে দারিদ্র্যসীমার নিচে। স্মার্ট বাংলাদেশ এর আরেকটি ভালো দিক হলো চরম দারিদ্র্যে কেউ থাকবে না। মূল্যস্ফীতি সীমাবদ্ধ থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে; বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে; রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ২০ শতাংশের ওপরে হবে; বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জারি করা তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২ অর্থবছরে দেশে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার, যা ২০২১ অর্থবছরে রেকর্ড ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার চেয়ে বেড়েছে। ২০২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৩২৬ মার্কিন ডলার।

আইএমএফ এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ২ হাজার ৬৮৮ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, পাকিস্তানের ছিল ১ হাজার ৪৭০, শ্রীলঙ্কার ৩ হাজার ৪৭৪, নেপাল ২ হাজার ৩৮৯, মিয়ানমার ১ হাজার ৯৬ এবং ভারতের ২ হাজার ৩৮৯ মার্কিন ডলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো দক্ষ ও সাহসী নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র তার নেতৃত্বেই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

news24bd.tv/ডিডি