অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় খবরে একদিনের ব্যবধানে রাজবাড়ী জেলার গ্রামের হাটগুলোতে মণপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
রোববার (২৪ মার্চ) জেলার সব থেকে বড় পেঁয়াজের হাট সোনাপুর ও মৃগী বাজারে প্রতি মণ পেয়াজ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
সোনাপুর হাটে মো. আমিন নামে এক আড়তদার বলেন, এলসি আমদানি হওয়ায় গত কাল ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে পেয়াজ কিনেছিলাম। রাতে খবর আসলো ভারত পেয়াজ রপ্তানি করবে না।
আজ সকালেই সেই পেয়াজ কিনতে হলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে।মৃগী হাটে শামিম মোল্লা নামে এক আড়তদার বলেন, এখন কৃষকও চালাক হয়ে গেছে। সবার কাছেই ফোন থাকে। তাই কখন পেঁয়াজ ভারত থেকে আসবে, কখন আসবে না, সেটা জানে।
রাজবাড়ী পৌর কাচা বাজারে খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হালিম বলেন, আজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে প্রতি কেজি পেয়াজ বিক্রি করছি। আমার প্রতি মণ পেয়াজ ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দরে কেনা ছিল, তাই কম দামে বিক্রি করতে পারছি। তবে গ্রামের হাটগুলোতে আজ বেশি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। হয়তো কাল থেকে আমাদেরও বেশি দরে বিক্রি করতে হবে।
পেয়াজ চাষি মুকুল সরদার বলেন, পেয়াজের দানা, শ্রমিক, সার কীটনাশকসহ ১ মণ পেয়াজ উৎপাদন করতে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা খরচ হয়ে যায়। আমার মতো অনেক কৃষক বৃষ্টির ভয়ে আগেভাগেই পেঁয়াজ তুলে ফেলছে। এখন যে বাজার আছে, এটা আরও কিছু দিন থাকলে কৃষক বেঁচে যাবে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন।
news24bd.tv/SHS