ভারতীয় পরিচয়ে গ্রেপ্তার, ৮ মাস হাজতবাসের পর জামিন পেলেন এক রোহিঙ্গা

সংগৃহীত ছবি

ভারতীয় পরিচয়ে গ্রেপ্তার, ৮ মাস হাজতবাসের পর জামিন পেলেন এক রোহিঙ্গা

শেরপুর প্রতিনিধি

ভারতীয় নাগরিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস হাজতবাসের পর জেলা লিগ্যাল এইডের সহায়তায় শেরপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন এক রোহিঙ্গা।

রোববার (২৪ মার্চ) শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালামত উল্লাহ উভয় পক্ষের শুনানী শেষে তাকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।

ওই রোহিঙ্গার নাম আশরাফুল আলী ওরফে সাইফুল ইসলাম (৪৫)। তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্য এবং সেইসূত্রে স্থানীয় ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা গ্রামের অধিবাসী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের প্যানেল আইনজীবী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম মমিন।

তিনি জানান, ওই রোহিঙ্গা নাগরিক দীর্ঘদিন যাবত স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছিলেন। গত বছরের ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের মীরগঞ্জ বাস টার্মিনাল এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় তিনি পুলিশের হাতে আটক হন। ওই সময় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা বলে জানান।

পরদিন তাকে থানা পুলিশ ভারতীয় নাগরিক সন্দেহে পাসপোর্ট ব্যতীত অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে ২৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল ইসলাম।

অন্যদিকে, কক্সবাজার ক্যাম্পে বসবাসকারী তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার স্বামীর বিষয়টি জানতে পেরে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বামীর বরাবর চিঠি পাঠান। এরপর বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সিনিয়র সহকারী জজ) মো. গোলাম মাহবুব খাঁনকে অবহিত করা হলে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস তাকে আইনগত সহায়তা দিয়ে জামিনের ব্যবস্থা করেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা কারাগারের সুপার মো. হুমায়ুন কবীর খান জানান, ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কারাগারে এলেও পরবর্তীতে দেখা যায় তিনি মূলত মিয়ানমারের নাগরিক এবং কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী।

মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছেনি। পৌঁছলে তার স্বজন ও নিযুক্ত আইনজীবীর উপস্থিতিতে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক