দীর্ঘ ৪৪ বছর পর চুইংগামের সাহায্যে খুনি শনাক্ত

যুক্তরাষ্ট্রে 

দীর্ঘ ৪৪ বছর পর চুইংগামের সাহায্যে খুনি শনাক্ত

অনলাইন ডেস্ক

১৯৮০ সালে আমেরিকার ওরেগন প্রদেশে এক কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই মামলাটি ৪৪ বছর ধরে অমীমাংসিত ছিল। তবে সম্প্রতি দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, একটি চুইংগামের সাহায্যে খুনিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মাল্টনোমা কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালের ১৫ জানুয়ারি ১৯ বছর বয়সী বারবারা টাকারকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন চালানো হয়।

তার পর মারতে মারতে খুন করা হয়। মাউন্ট হুড কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন বারবারা।

অ্যাটর্নি জানিয়েছেন, কলেজ চত্বরে পার্কিং লটের কাছে একটি জায়গায় বারবারাকে খুন করা হয়েছিল। খুনটি করেছিলেন রবার্ট প্লাইমটন।

তার এখন বয়স ৬০।

এই মামলায় রবার্টকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার আইনজীবীরা রায়টির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও দেন।

কিন্তু এত বছর আগের এক ঘটনায় কীভাবে খুনিকে ধরা হলো তা জানতে চাওয়া হলে কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জানান, মামলাটি বহু পুরনো হলেও তদন্ত কখনোই বন্ধ হয়নি। তিনি জানান, ভুক্তভোগীর দেহের যোনি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০০০ সালে সেই নমুনা ওরেগন স্টেট পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। ওই নমুনা থেকে পুলিশের ক্রাইম ল্যাব অপরাধীর একটি ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে। রবার্টের উপর সন্দেহ থাকায় আগে থেকেই তার উপর নজরদারি রেখেছিলো তদন্তকারী কর্মকর্তা। একদিন রবার্টকে মুখ থেকে চুইংগাম ফেলতে দেখে সেটি সংগ্রহ করে ক্রাইম ল্যাবে পাঠানো হয়। সেই নমুনার সাথে ভুক্তভোগীর যোনি থেকে প্রাপ্ত নমুনা মিলে যায়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ জুন এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে পুলিশ রবার্টকে হেফাজতে নেয়।

news24bd.tv/SC