রূপগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের ওপর হামলা, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৮

রূপগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের ওপর হামলা, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৮

অনলাইন ডেস্ক

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। এ সময় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আরও ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকায় হাজী বাড়ির সামনে এই গুলি ও হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সেহরির পর কাজের উদ্দেশে সাউদ বাড়ি ঘাটে যান নাওড়া গ্রামের রুবেল, মোক্তার, তাজ মোহাম্মদ ওরফে তাজেল ও নূর হোসেন। সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা আন্ডা রফিক বাহিনীর সদস্যরা এরপর তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন মোক্তার, তাজ মোহাম্মদ ওরফে তাজেল, নূর হোসেন। সেসময় সাউদ বাড়ি ঘাটে আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে যায় স্থানীয়রা।

এ সময় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সময় ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হন আকবর হোসেন (২৪), জয়নাল আবেদীন (৩৬), শামীম (২৫), আরিফ (৯), নূর হোসেন (২৪), তাজ মোহাম্মদ (৩১), মুক্তার (৬০) ও রোমান (১৯)।

আহত জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সেহরির পর কাজের উদ্দেশে রুবেলসহ ৪ জন সাউদ বাড়ি ঘাটে যায়। তখন রফিক বাহিনীর সদস্যরা তিনজনকে আটকে পিটিয়ে আহত করে। আমরা তাদের উদ্ধারের জন্য গেলে আমাদের ওপর অস্ত্রসহ হামলা চালায়। আমিসহ প্রায় ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম অনেক দিন ধরে আমাদের জমি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে চাপ দিচ্ছে। আমরা জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় কয়েকদিন পর পর তার সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। কেউ একা এলাকা থেকে বের হলে তাকে পিটিয়ে আহত করে। আমরা এর বিচার চাই। ’

গুলিবিদ্ধ শামীম জানান, তাদের বসতবাড়ির জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিল স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। সকালে স্থানীয় আন্ডা রফিক, কুত্তা মিজানের অনুসারী আলাদিন, নাজমুল, আলাল, বকুল, আলমামুন, ইউসুফ, ফরিদ, শাহীনসহ অন্তত ৫০ জন সশস্ত্রভাবে তাদের ওপর আক্রমণ করে। পরে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে বাধা দিলে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। এ সময় শটগানের গুলিতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন। ’

আহতরা জানান, এই বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও তাদের ওপর একইভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। তখনও ৫-৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে। ঘটনাটি রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক