ইউটিউবে মিথ্যার রমরমা ব্যবসা

মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ব্যবসা করার দায়ে ফেঁসে যেতে পারে ৩টি ইউটিউব চ্যানেল।

ইউটিউবে মিথ্যার রমরমা ব্যবসা

অনলাইন ডেস্ক

মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ব্যবসা করার দায়ে ফেঁসে যেতে পারে ৩টি ইউটিউব চ্যানেল। সম্প্রতি ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিসমিসল্যাব বলছে, এসব চ্যানেলে ভিডিওর থাম্বনেইল ও শিরোনামের সঙ্গে ভেতরের বিষয়বস্তুর কোনো মিল নেই। তাদের তুলে ধরা তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা।

ইউটিউবে এ ধরনের ভুয়া ভিডিওর বাজার দেশে গড়ে উঠেছে। এসব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বেড়ে যাওয়ায় বিজ্ঞাপন পাচ্ছে এবং তাদের আয় বাড়ছে।

বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলোর ফ্যাক্ট চেকিংয়ের আওতায় আসা সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক অপতথ্য ছড়ানো তিনটি ইউটিউব চ্যানেলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। চ্যানেল তিনটি হলো- ‘সবাই শিখি’, ‘তাজা নিউজ’ ও ‘মিডিয়া সেল ২৪’।

এসব চ্যানেল মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে মুনাফা করছে।

ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব চ্যানেলের ভিডিওগুলো দেখলেই মনে হবে ভুয়া ও সস্তা। ভিডিওর থাম্বনেইল ও শিরোনামের সঙ্গে ভেতরের বিষয়বস্তুর মিল নেই। ইউটিউবে এ ধরনের সস্তা-মিথ্যার একটি বাজার গড়ে উঠেছে। যেখানে ভিউও অনুসারী দ্রুত বেড়ে চলেছে। এ ধরনের চ্যানেলগুলো আবার ভেরিফায়েডও। সবাই শিখি, তাজা নিউজ ও মিডিয়া সেল ২৪- তিনটি চ্যানেল ইউটিউবে রাজনৈতিক ভুয়া তথ্য প্রচারের মাধ্যমে আয় করছে।

চ্যানেলগুলো বিশ্লেষণ করে ডিসমিসল্যাব দেখেছে যে, তারা যখন থেকে ভুল বা অপতথ্যভিত্তিক ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেছে, তখন থেকেই তাদের ভিউ ও অনুসারী সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ বা তিন গুণের বেশি বেড়েছে। তিনটি চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে। সেখান থেকে ইউটিউবও আয় করেছে।

ডিসমিসল্যাব বলছে, ইউটিউবের নির্দেশাবলিতে (কমিউনিটি গাইডলাইন) থাম্বনেইল পলিসিতে বলা হয়েছে, ভিডিওর থাম্বনেইলে এমন কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না, যা দর্শকদের বিভ্রান্ত করে। কিন্তু উল্লিখিত তিনটি চ্যানেলের ভিডিওতে বিভ্রান্তিকর থাম্বনেইল ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে এমন তথ্যের উল্লেখ আছে, যা সত্য নয় এবং ভিডিওতে তেমন কোনো তথ্য উপস্থাপনও করা হচ্ছে না। কিন্তু ভিডিওগুলো ইউটিউবে রয়েছে এবং মনিটাইজেশনের মাধ্যমে মুনাফা করছে।

আরও পড়ুন: ফেসবুকের পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে আ.লীগের ভিডিও

মিডিয়া সেল ২৪ চ্যানেলটি ঘেঁটে দেখা গেছে, একটি ভিডিওর শিরোনাম ‘মুক্তি পাচ্ছে মির্জা ফখরুল...তফসিল বাতিল। ’ সেটি প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর। অথচ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তখনো কারাগারে ছিলেন এবং নির্বাচনী তপশিলও বাতিল হয়নি। তাতে বিভিন্ন সময়ের ভিডিও জোড়া দেওয়া হয়েছে। এর ভিউ হয়েছে ১০ লাখের মতো। এই ভিডিওতে সাড়ে চার শতাধিক মন্তব্য করা হয়েছে। মিডিয়া সেল ২৪ চ্যানেলটি ভেরিফায়েডও।

প্রসঙ্গত, মনিটাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ও ইউটিউব চ্যানেল আয় করে থাকে। মনিটাইজেশন হচ্ছে চ্যানেলকে আয়যোগ্য করে তোলা। মনিটাইজেশন সুবিধা চালু করতে হলে ইউটিউব চ্যানেলে কমপক্ষে ৫০০ অনুসারী থাকতে হবে। এ ছাড়া বিগত ১২ মাসে দর্শকদের ভিডিও দেখার সময় ৩ হাজার ঘণ্টা থাকতে হবে। পাশাপাশি আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি ভিডিও আপলোড করতে হবে।

news24bd.tv/ab