কোরআন বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর উপদেশ বাণী। এর মধ্যে কোনো ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা নেই। এর বক্তব্যে কোনো ধরনের দুর্বলতা ও জড়তা নেই। একেবারেই বিন্যস্ত ও বিস্তারিতভাবে প্রয়োজনীয় উপদেশ এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, ‘আলিফ-লাম-রা, এই কিতাব প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞের কাছ থেকে এসেছে। এর আয়াতগুলো সুস্পষ্ট সুবিন্যস্ত ও পরে বিশদভাবে বিবৃত। ’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১)
কোরআন অলৌকিক গ্রন্থ। তাই এর শব্দমালা, বিন্যাস ও বর্ণনায় নৈপুণ্য আছে।
কোরআন বিশ্বমানবতার উদ্দেশে আল্লাহর বার্তা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এটা (কোরআন) মানুষের জন্য এক বার্তা, যাতে তারা এর আলোকে সতর্ক হয় এবং জানতে পারে যে তিনি (আল্লাহ) একমাত্র উপাস্য। আর যাতে বোধশক্তিসম্পন্নরা উপদেশ গ্রহণ করে। ’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৫২)
এ আয়াতে বলা হয়েছে যে এই কোরআন বিশ্বমানবতার উদ্দেশে মহান আল্লাহর বিশেষ বার্তা। এই বার্তার মাধ্যমে মানুষের তিনটি উপকার হবে—
প্রথমত, মানুষ এর মাধ্যমে আল্লাহর আজাব সম্পর্কে জানতে পেরে সতর্ক হতে পারবে।
দ্বিতীয়ত, এর মাধ্যমে আল্লাহর অস্তিত্ব ও তাঁর একত্ববাদের প্রমাণ উপলব্ধি করতে পারবে।
তৃতীয়ত, কোরআনের বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ঢেলে সাজাতে পারবে।