মীরজাফরের বংশধরেরা এখন যেভাবে বেঁচে আছেন 

জাফর আলি রেজা

মীরজাফরের বংশধরেরা এখন যেভাবে বেঁচে আছেন 

অনলাইন ডেস্ক

প্রাচীন ভারতে বাংলা বিহার ওড়িশার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ । বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা'র সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লর্ড ক্লাইভের সঙ্গে যুদ্ধের সময়, মীরজাফর সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। এই সূত্রে যে কোন বিশ্বাসঘাতককে বাংলা ভাষায় 'মীরজাফর' হিসেবে অভিহিত করা হয়। আর সেই মীরজাফরের বংশধর আছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের  মুর্শিদাবাদে।


মীরজাফরের বংশধরদের একজন রেজা আলি মির্জা। তবে মির্জা পদবি ব্যবহার করেন না। মীরজাফরের হাজারদুয়ারি প্যালেসেও থাকেন না। কারণ এ বাসার গেটেই স্থানীয়রা লিখে দিয়েছে ‘ নেমকহারাম’ গেট।
মানুষ আসা যাওয়ার পথে থুথু ফেলে।  
ফলে রেজা আলি , অনেকের কাছে পরিচিত জাফর আলি রেজা তিনি লালবাগ এলাকায় দোতলা বাসা বানিয়ে বসবাস করছেন মীরজাফরের পরিচয় গোপন করে। তিনি শিক্ষকতা করতেন। মানুষ ভালো। স্থানীয় কবি সলিল ঘোষের মতে, তার মতো মানুষ হয় না। তবু পূর্বপুরুষের কৃতকর্মের দায়ে তাকে পরিচয় গোপন করে চলতে হয়।  সূত্র, নিউজ বাংলা এইটিন।
তবে রেজা আলির ছেলে মীর জাফরের নবম বংশধর ফাহিম জানান, এলাকার লোকজন তাদের কোন ধরনের বিরক্ত করে না-কারণ এলাকার সবাই জানেন মীর জাফরের বিষয়টা নিয়ে আসলে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাছাড়া কেউ এখনো জানেনা আসলে পলাশীর যুদ্ধে কি হয়েছিল। এমন ও হতে পারে, তখন ইংরেজরা কোন না কোনভাবে মীর জাফরকে বাধ্য করেছিল যার জন্য সে এভাবে বেইমানি করতে বাধ্য হয়েছিলো।
ফাহিম মুখে যা ই বলুন আসল ঘটনা ,মীরজাফরের বংশধরেরা নিজেদের বংশ পরিচয় দিতে চান না সহজে। তিনি এমএ পাশ করে চাকরি খুঁজছেন। মোদি সরকারের আমলে চাকরি পাবেন বলে মনে করেন না ফাহিমের বন্ধু তারিক। তাই ফাহিম অন্যত্র চলে গিয়ে ব্যবসারও চিন্তা করছেন।   
বেশ কিছুদিন আগে-মীর জাফরের অষ্টম বংশধর, মানে ফাহিমের বাবা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক রেজা আলি তার বাড়িতে থাকা বিভিন্ন দলিল, প্রমাণাদি ইত্যাদি একত্রিত করে একটা বই লিখেছেন। বইয়ের নাম  ‘ মীর জাফর বেইমান নয়!’
এই বই প্রকাশের পরপরেই পুরো মিডিয়া এবং ভারত জুড়ে তোলপাড় লেগে যায়। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি এই বইটি বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হোন।
রেজা আলির বাল্যবন্ধু সলিল ঘোষ বলেন, তাদের দোষ তো একটাই, তারা মীরজাফরের বংশে জন্মগ্রহণ করেছে। এছাড়া তো তাদের আর কোন দোষ নেই, তারা তো পলাশীর যুদ্ধও করেনি, নবাব সিরাজউদ্দোলার সাথে বেইমানিও করেনি৷কিন্তু তবু তাদের সমাজে আজও ঘৃণিত হয়ে থাকতে হচ্ছে। এটা অন্যায়। সূত্র, টিভিনাইন অনলাইন ।  

news24bd.tv/ডিডি

এই রকম আরও টপিক