সূরা মায়িদায় যে দোয়া বর্ণিত হয়েছে

সূরা মায়িদায় যে দোয়া বর্ণিত হয়েছে

সূরা মায়িদায় যে দোয়া বর্ণিত হয়েছে

বান্দা দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন এবং তিনি বান্দার দোয়ার অপেক্ষায় থাকেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। ’ (সূরা গাফির, আয়াত, ৬০)

এজন্য নিজের যেকোনো প্রয়োজন, চাওয়া-পাওয়া, প্রত্যাশার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা এবং প্রার্থনা অভ্যাস করে নিতে পারা মুমিনের জীবনের অন্যতম সৌভাগ্য। দোয়া যেমন একটি স্বতন্ত্র্য ইবাদত একইভাবে তা মানুষের তাকদির বা ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম।

এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘দোয়া ছাড়া কোনো কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ব্যতীত হায়াত বৃদ্ধি পায় না। ’  (সুনানে ইবনে মাজা', হাদিস, ৯০)

এখানে কোরআনের সূরা মায়িদাতে বর্ণিত তিনটি দোয়া তুলে ধরা হলো—

ফাসেকদের থেকে দূরে থাকার দোয়া

رَبِّ اِنِّیۡ لَاۤ اَمۡلِکُ اِلَّا نَفۡسِیۡ وَ اَخِیۡ فَافۡرُقۡ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَ الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি লা আমলিকু ইল্লা নাফসি ওয়া-আখি, ফাফরুক্ব বাইনানা ওয়া- বাইনাল-ক্বাওমিল ফাসিক্বীন

অর্থ : ‘হে আমার রব, আমি আমার ও আমার ভাই ছাড়া কারো উপরে অধিকার রাখি না। সুতরাং আপনি আমাদের ও ফাসিক কওমের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন। (সূরা মায়িদা, (৫), আয়াত, ২৫)


ঈমানদারদের সঙ্গে থাকার দোয়া

رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاکۡتُبۡنَا مَعَ الشّٰهِدِیۡنَ

উচ্চারণ : রাব্বানা আ-মান্না ফাক-তুবনা মাআশ-শাহিদীন।

অর্থ : ‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্য দানকারীদের  তালিকাভূক্ত করুন। (সূরা মায়িদা, (৫), আয়াত, ৮৩)

উত্তম রিজিক চেয়ে ঈসা আ.-এর দোয়া

اللّٰهُمَّ رَبَّنَاۤ اَنۡزِلۡ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ تَکُوۡنُ لَنَا عِیۡدًا لِّاَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰیَۃً مِّنۡکَ ۚ وَ ارۡزُقۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বানা আনঝিল আলাইনা মা-ইদাতাম-মিনাছ-ছামা, তাকুনু লানা ই-দাল-লি আওয়ালিনা, ওয়া আখিরিনা ওয়া-আয়াতাম-মিনকা, ওয়ারঝুকনা ওয়াআংতা খাইরুর -রাঝিক্বীন।

অর্থ :  ‘হে আল্লাহ, হে আমাদের রব, আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাযিল করুন; এটা আমাদের জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে। আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য। আর আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হবে। আর আমাদেরকে রিজিক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিয্কদাতা’। (সূরা মায়িদা, (৫), আয়াত, ১১৪)

News24bd.tv/aa