পার্লারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাপল্লীতে বিক্রি

গ্রেপ্তার আসামি পারুল বেগম ওরফে পারু

পার্লারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাপল্লীতে বিক্রি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ভালো বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলে গ্রাম থেকে ভাগিয়ে ঢাকা হয়ে ফরিদপুরের রথখোলা পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাচার চক্রের দুই নারী ও দুই যুবককে আসামি করে মামলার পর পাচার চক্রের এক নারীকে আটক করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ওই আসামির নাম পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮)। জনৈক আসাদ শেখের স্ত্রী পারু রথখোলা পতিতাপল্লীর বাসিন্দা।

মামলার অন্য আসামিরা হলো- আপন (৩০), জহির (৩০) ও গোয়ালচামট খোদাবক্স রোডের বাসিন্দা ইলিয়াস কসাইয়ের স্ত্রী পতিতা সর্দারনি ববি (৩৮)।

বুধবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. হাসানুজ্জামান।

তিনি জানান, আসামি আপন পার্লারে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানার কড়ইশ নামকস্থান থেকে গত ১০ মার্চ এক তরুণীকে ঢাকায় নিয়ে আসে। দুইদিন সেখানে রেখে ৩ ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই তরুণীকে।

ওই ৩ ব্যক্তি সেদিন সন্ধ্যায় মেয়েটিকে ফরিদপুরের রথখোলা পতিতাপল্লীতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।

পরের দিন একটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে জানায়, এখন থেকে সে পতিতাপল্লীর একজন লাইসেন্সধারী সদস্য।

ওসি আরও জানান, এই মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যদের মাধ্যমে জোর করে খদ্দেরদের মনোরঞ্জনের জন্য দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায়। এর মাঝে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খরিদ্দারকে তার ছোটবোনের মোবাইল নম্বর দেয়। পরে ওই খরিদ্দারের মোবাইল কলের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা ২২ মার্চ সন্ধ্যায় রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশকে জানায়। পুলিশ সেখানে অভিযান চালানোর পর চাঁদপুরের ওই তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপশি ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেকটি মেয়েকেও উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই মেয়েটি জানায়, তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা পতিতাপল্লীতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় চাঁদপুরের ওই মেয়েটির মা জোছনা বেগমের দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৮/১১/১২ ধারায় কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর নং-৫৪ দায়ের করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এসআই ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে গত ২৪ মার্চ পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক