জ্বিনের বাদশাহ

অলংকরণ: কামরুল

কিস্তি ১৬

জ্বিনের বাদশাহ

অনলাইন ডেস্ক

তুখোড় বক্তৃতা আর যুক্তির ফোয়ারার ভেতর ডিগবাজি খাওয়া ইতিহাস-রাজনীতিসচেতন একজন সিল্কি চুলের বাবরি দোলানো মানুষের সঙ্গে, শ্রেণিকক্ষে বা মঞ্চের টেবিল চাপড়ানো অত্যন্ত প্রাণবান একজন মানুষের সঙ্গে ঘর করা কি খুব ভাগ্যের মনে হয়?
হ্যাঁ, ভাগ্যই তো! ছা-পোষা জীবনের বাইরে একটা বিস্তৃত বোধসম্পন্ন জীবনের ভেতরে বুঁদ হয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে থাকা অবশ্যই ভাগ্যের। অন্তত যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করেন তাদের জন্য তো বটেই। কিন্তু বই পড়ে, সৃষ্টিশীল চিন্তা করে হয়তো ইউরোপ, আমেরিকার অবিদিত সব জীবাষ্ম আবিষ্কার করা যায় , পারস্য গোলাপ বা লাইলাক ফুলের সুগন্ধি তৈরির ফর্মুলা আত্মস্থ করা যায়, ফুকো, লাকা, বাখতিনের চিনের মধ্যে থাকা কথাকেও আয়ত্ত করা যায়, আব্দুর রাজ্জাকের রাজনৈতিক ভাষাডারেও চিহ্নিত করণ যায়; কিন্তু ডাইনিং টেবিলে রাখা গরুর মাংসের সঙ্গে কাটারিভোগ চালের ভাপ ওঠা গরম ভাতের ঘ্রাণ ডাইনির মতো ডাক পাড়লে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষুধা সেইসব চিন্তাকে কানের বাষ্প করে নিশ্চয়ই উড়িয়ে দেয়? কী দেয় না? তাঁকেও দেয় তবে অতি সন্তর্পণে।  
সাই-ফাই ফ্যাক্টের মতো যদি ক্ষুধা নিবারণ পিল বাস্তবে এভেইলেবল হতো, তো বইয়ের জগতে আরও লেপ্টে থাকা যেতো।

তখন অবশ্য পৃথিবীর আদি প্রতিষ্ঠান-- বিয়ে কাঁদতে কাঁদতে পালিয়ে যেতো এইসব বইপোকাদের কাছ থেকে।
কিন্তু হায়!  তাই কি সম্ভব?

আরও পড়ুন: 'সবাই ছেড়েছে, নাই যার কেহ তুমি আছো তার আছে তব স্নেহ'

দিনের পর দিন কেবল বই, চিন্তা আর কথার ঘোরটোপে থাকা মানুষের মধ্যে আকাশে মেঘের অস্তিত্বের সঙ্গে মাটিতে ওঠা পিঁপড়ার সম্পর্ক দেখবার শখ জাগে না। আচ্ছা, 'শখ' শব্দটির উপস্থিতি তাঁর মধ্যে খুব কম পেয়েছি আমি। বাংলা সিনেমার গান, বাংলা নাটক আর মাছ মারার ভিডিও ছাড়া শখ করে তাঁকে আর কিছু করতে দেখিনি আমি।

এর বাইরে তিনি স্ক্রিনে যা দেখেন সবই কাজের দেখা। কাজ ছাড়া শখের বসে পড়েনও না আজকাল। ভালো লাগার চেয়ে তাঁর পড়ার আগ্রহ মূলত কাজে লাগানোর জন্য। আমরা যেমন কাজে লাগানোর জন্য অংক, বিজ্ঞান,সমাজ,ধর্ম ভালো না লাগলেও পড়ি। পড়তে পড়তে একসময় ভালো লাগাই। সার্টিফিকেট পাই। সেরকম অনেকটা। কিন্তু শখ করে তাঁকে আমি কিছু করতে দেখি না। এমনকি ২০১৬ সালে যে একটি গাড়ি কেনা হয়েছিলো, লোকে যেটাকে গরীবের ঘোড়ারোগ বলেছিলো, সেই গাড়িটিও শখে কিনেছেন তা কখনোই বলতে চাননি তিনি। বা কিনলেও 'শখ'- এর বিষয়টি লুকিয়ে রেখে দারুণ যুক্তি দিয়েছিলেন তখন। সেটা হলো প্রয়োজন। আবার পাঁচবছরের মাথায় বিক্রির সময়ও দুর্দান্ত যুক্তি বের করে বেচে দিতে পারলেন! 

এরকম মানুষের সঙ্গে সংসার করা দু'পাশে ধাবমান দুটো রেলের মাঝখানে নিজেকে আস্ত আবিষ্কার করার মতো দুরূহ ব্যাপার।  
এতোক্ষণ ধরে আমি কিন্তু আমার বরের কথা বলে গেলাম এবং এখনও বলবো।

তিনি যে জগতে,যাদের আন্তরিক সাহচর্যে ঘুরে ফিরে বেড়ান, চিন্তার স্টেশন খোলেন সেসব জগত আর মানুষের মধ্যে 'সংসার' এর অর্থ ঐতিহ্যগত সিলসিলা হিসেবে অতোটা পাকাপোক্ত নয় বলেই মনে হয় আমার কাছে। তাঁর সহবোদ্ধাদের মধ্যে বিয়ে, ছাড়াছাড়ির হিড়িক চলে প্রায়শ। অথবা সর্বোচ্চ প্রেমিকা/প্রেমিক পর্যন্ত শোনা যায়। সংসার ঠিক সংসারের মতো নয় কারোরই। বা হলেও এক বিয়ের নয়। তাঁর একবিয়েসম্পন্ন সতীর্থ সাহচর্য হাতে গোনা। এমন পরিবেশে তিনি ইন্টারের পর থেকেই। বাবা-মাকে ছেড়ে পরিবার আর 'সংসার' এর ঐতিহ্যগত কাঠামো ত্যাগ করেছেন তিনি ওই বয়সেই। অবশ্য এগুলো শুধু আমার দৃষ্টিকোণ থেকেই। আজীবন জীবনের একটিই লক্ষ্য তাঁর-- লেখক হবার। হয়েছেনও। ক্রিটিক্যাল লেখক, চিন্তক ও বক্তা। আজকাল দেখি মানুষের শিল্পী-সাহিত্যিক সার্টিফিকেট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মতো হয়ে গেছেন অনেকটা। এতো ব্যস্ত, এতো গভীর চিন্তার সলিলে ডুবে থাকা মানুষের পক্ষে কি তথাকথিত এই 'সংসার' ধর্ম মেইনটেইন করা সহজ? মোটেই না। সম্ভব না। যার পক্ষে সম্ভব হয় তিনি মানুষ না 'জ্বেন'।

আরও পড়ুন :নকিয়া-১১১০

মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে যুক্তিতে জেতার জন্য, জীবন যাপনের পক্ষে শক্ত রেফারেন্স তৈরি করার জন্য(যেহেতু তাঁর লেখাসমূহে বরাতের প্রাচুর্য থাকে বেশ), তিনি সংসারের এটা সেটা করে দেখান। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যেটা তিনি সচেতনতার সঙ্গে করেন সেটা হলো আমি জানার আগেই নিজের খাবারের প্লেট নিজে নিয়ে খাবার খেয়ে ফেলেন। এটা আগে এতোটা ছিলো না। এই ব্যাপারটা আমি ব্যস্ত থাকলে বা বাসায় না থাকলে ঠিক আছে। কিন্তু বাসায় আছি, ফ্রি আছি তবু নিজের খাবার নিজেই নিয়ে খাচ্ছেন। আষাঢ়ের মাঠে বোনা আমনের চারার মধ্যে বন্যা ঢেলে দেবার মতো লাগে ব্যাপারটা। শুধু শুধু সম্পর্কের অপচয়।
ইনডিপেনডেন্ট থাকবার এবং রাখবার ফলস চেষ্টা মনে হয়। এটা করলে আমার মনে হতে বাধ্য যে তিনি আমাকে তথাকথিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরুষদের মতো তাঁর নিজের কাজে এইনগেইজ করেন না। কিন্তু শুধু এটা করেই যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আধিপত্যবাদী আচরণের বাইরে থাকা যায় না তা কে বোঝাবে তাঁকে! তাঁকে বোঝানোর মতো কোনো মানুষ এই বাংলাদেশে আছেন কিনা সন্দেহ!

তাঁর বুঝজ্ঞান অনেক পৌঢ় বা প্রাজ্ঞ মানুষের চেয়েও অনেক বেশি। কিন্তু সেটা কি সব ক্ষেত্রে সম্ভব? হয়তো তাঁর পরিচিত ক্ষেত্রে সম্ভব। কিন্তু এটাও তো হতে পারে যে পৃথিবীর সমস্ত ক্ষেত্রে তিনি বিচরণ করেননি?

আরও পড়ুন :বিশ্ববিদ্যালয় ও একজন মোহাম্মদ আজম

আমি তাঁকে তাঁর জ্ঞানজগতের সমৃদ্ধির জন্য অনেক শ্রদ্ধা করি। যেটা তাঁর সাহচর্যের প্রায় সমস্ত মানুষই করে থাকে। কিন্তু তারা কি প্রদীপের নিচের অন্ধকারটুকু দেখতে পায়? নিজের অন্ধকার কীভাবে ঢেকে রাখতে হয় সেই বিষয়ে তাঁর স্কুল খোলা উচিত। অনেক ছাত্র-ছাত্রী মিলবে। নিজের দুর্বলতাকে কী করে দুর্দান্ত যুক্তি আর পরিস্থিতি অনুসারে কী ধরনের শব্দ আর ভঙ্গি ব্যবহার করে সবলরূপে প্রতিষ্ঠিত করা যায় সেই দুর্জ্ঞেয় জ্ঞান অনেক বিজ্ঞজনের মধ্যেও থাকে না।
তিনি সেটি পারেন। সফলভাবেই পারেন।

তিনি আরও অনেক কিছু পারেন। আমার কাছে তাঁকে জাদুকর মনে হয় মাঝে মাঝে। মানুষকে হিপনোটাইজ করে ফেলতে পারেন। খোদাতায়ালা সেই চোখ আর চোয়াল তাঁকে দিয়েছেন। বলেন,  'সুবহানাল্লাহ'! তাঁর তৈরি করা বাক্যের উচ্চারণ বা লিখিত রূপায়ন মানুষকে মোহাবিষ্ট করে ফেলতে পারে। এটা যে তিনি কেবল বই পড়ে অর্জন করেছেন, তা কিন্তু নয়। অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ধী-শক্তি, বশীকরণীয় শব্দ নির্বাচন ক্ষমতা তাঁর জীবন যাপনের অন্যতম পুঁজি। এটা তিনি অনেকটা জিনেটিক্যালিই পেয়েছেন।  

আমার কথাগুলো হয়তো অনেকের কাছেই অপ্রিয় ঠেকবে। আবার অনেকে বুঝবেনও ঠিকঠাক। আমার বরের সঙ্গে আমার একবিন্দু মিল নেই। তার সব থেকে বড়ো উদাহরণ তাঁর একটি লেখা 'ব্যাটারিচালিত রিকশা অহিদের সুন্দর পা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মুখ' লেখাটি সৃষ্টি হবার সূত্র থেকে অহিদের শেষ পরিণতি। এই অহিদ আমাদের এলাকার একটি ছেলে। বয়সে খুব সম্ভবত আমার থেকে চার পাঁচ বছরের ছোটো হবে। খুব ছোটো বেলা থেকে ও আমার বাবার এবং মামার ফার্ম ও ফ্যাক্টরির সঙ্গে যুক্ত। খুব রূপ ও ফ্যাশন সচেতন আর টিপটপ থাকতো সবসময়। দেখে বোঝার উপায় নেই সে এই বিত্তের মানুষ। নিজেকে খুব পরিপাটি রেখে ছেলেটা ভদ্রলোক সমাজের একজন হতে চাইতো। এদিকে পড়ালেখা কিছুই জানতো না। পরে বড়ো হয়ে একসময় ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালানো শুরু করে স্বনির্ভর হয়। এই ছেলেটা তার ব্যাটারিচালিত ভ্যান চার্জ দিতো আমার এক মামার বাড়িতে এসে। ক্ষিতির বাবাকে আমি একবার বেশ জোরাজুরি করে এই বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম এটা দেখানোর জন্য যে এই অহিদের চেহারা হুবহু তাঁর এক কলিগের মতো। তিনি অহিদের মুখ দেখার বদলে দেখলেন তার পা আর ব্যাটারিচালিত ভ্যান। কিন্তু তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মুখ যে অহিদের মসৃণ পায়ে দেখলেন সেই পা ছিলো অহিদের একেবারে নিজস্ব। 'ব্যাটারিচালিত মসৃণ পা' ব্যাটারিচালিত ভ্যানের অবদান নয়। ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালানো আর কারো পা অহিদের পায়ের মতো মসৃণ হয় না, প্রচণ্ড নোংরা হয়। অহিদ বিয়ে শাদি করে বাচ্চাকাচ্চাসমেত ব্যাটারিচালিত ভ্যানের আয়েও খুব একটা ভালো থাকতো না। তবু তার ফিটফাট আর ফুটানি ছিলো। সুতরাং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যে মুখ তিনি দেখেছিলেন অহিদের ব্যাটারিচালিত ভ্যানের আয়ের পায়ে তা একেবারেই তাঁর বিদ্যা বুদ্ধি আর রাজনীতিসচেতন চিন্তার মধ্যে একধরনের আরোপণই বটে। এই কাজ তিনি করেন। কিছুদিন গ্রামে গিয়ে থেকে ভালো করে গ্রামকে অবজার্ভ করলে এই জাতীয় অনেক আরোপণমুক্তি ঘটতো তাঁর চিন্তার ক্ষেত্রে। কিন্তু তাঁর গ্রামে গিয়ে থাকার মতো সময় হয় না।  তিনি আসলেই অনেক ব্যস্ত থাকেন। এতো ব্যস্ত যে তাঁর লেখার চরিত্র 'অহিদ' যখন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তড়পাচ্ছে, তখনও তাঁর সময় হয়নি তাকে একবার দেখতে যাবার।  
আমি না যেয়ে, অহিদের জন্য সময় না দিয়ে পারিনি। এটাই আমাদের অমিলের পিন-পয়েন্ট। এমনেতে অহিদের ক্যান্সার আক্রান্ত হবার সঙ্গে আমি হয়তো এতোটা এনগেইজড হতাম না, যদি না আমার বর তাকে নিয়ে লিখতেন। কিন্তু তিনি লেখায় যতোটা আন্তরিক অহিদের ব্যাপারে, অহিদের অন্তিম প্রয়োজনে ততোটা নিরাসক্ত। এ জন্যই বোধ হয় তিনি এতোকিছু পারেন। সম্পর্কের ঘনিষ্টতাজনিত ক্লান্তি তাঁর মধ্যে থাকে না।  

এবার আমার লেখার গিয়ারটাকে একটু মানিক, ইলিয়াস বা শহীদুল জহিরের মতো জাদুবাস্তবতার কাটায় ফেলতে চাই। যা লিখবো তার পুরোটাই কল্পনা। তবু তাঁকে নিয়ে এভাবে লিখতে খুব ইচ্ছে করে আমার। কখনো হাত পাকলে বা সুযোগ হলে গল্প বা উপন্যাস লিখবো হয়তো।

আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বর একজন জ্বিনপালা মানুষ। (হি হি হি)
তাঁর কব্জায় মনে হয় কমপক্ষে ডজনখানেক জ্বিন আছে। না না, দয়া করে না হেসে তাঁকে একটু ভিন্নভাবে পড়ে দেখুন না। জ্বিন না পাললে আমার(এখানে আপনি আপনাকেও ধরে নিতে পারেন) মনের মধ্যে কী আছে, আমি কী করছি সবকিছু কীভাবে তিনি টের পান? যা চিন্তা করেছি তা তিনি অবলীলায় বলে দেন? রীতিমতো ভৌতিক ব্যাপার স্যাপার। অধিক পড়াশোনা জানা মানুষ অনেক বিচক্ষণ হন, তবে জাগতিক অনেক বিষয়েই অনেক উদাসীন হন, তিনি কিন্তু মোটেও উদাসীন নন। উলটো মারাত্মক বুঝদার। আবার আরও ভৌতিক ব্যাপার হলো, এই অহিদের আকস্মিক ক্যান্সার এবং মৃত্যু। একসময় হাতিপুলের সিকান্দারের কাছ থেকে তিনি রেগুলার মাছ কিনতেন(সংসারের কাজ বলতে এই মাছ মাংস কেনা আর মশারি টানানোর কাজটা একদম রেগুলার করে থাকেন বলে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়াও টুকটাক বাজার করেন, সেটা রেগুলার না। )৷ ছেলেটাও আকস্মিকভাবে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। এরপর নিউমার্কেটের আরেকজনের কাছ থেকে রেগুলার মাছ কিনতেন। সেও আকস্মিকভাবে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। এখন মাছ মাংসের জন্য আর নির্দিষ্ট কারো কাছে যান না। আমার মনে হয় আমার বরের পোষ্য কোনো একটা জ্বিনের কাজ হবে এগুলো। মনের সঙ্গে পটেনি, অমনি 'কাম সাইরা দিছে' আরকি! এরকম হঠাৎ করে মারা যাবার ঘটনা আমার পরিবারেও আছে। আব্বু আর ভাইয়া। রোগ আগে থেকে চিহ্নিত হবার আগেই কাজ হয়ে গেছে। তাঁর(ভেতরের পোষ্য জিনের) বদনজর দেবার অসাধারণ ক্ষমতা আছে। তাঁর চোখে মারাত্মক জিনিস আছে। যা আপনি অ্যাভোয়েড করতে পারবেন না। একবার বেশি করে পুডিং বানানোর জন্য ৮টি ডিম ব্লেন্ড করছি। তিনি রান্না ঘরে এসে খুব বিস্ময়ের সঙ্গে জিজ্ঞেস করছেন যে আটটা ডিম দিয়ে কতো পুডিং বানাবো। তিনি রান্নাঘর থেকে যেতে যেতেই আমি দেখলাম আমার হাত থেকে বিনাকারণে অনায়াসে ডিমের বাটিটা ঢেলে পড়ে গেলো। মোটামুটি পাঁচটা ডিমের পরিমাণ ফ্লোরে গড়িয়ে পড়লো। এটা নিশ্চয়ই তাঁর ভেতরের বদজ্বিনের কাজ!
নাহলে দিনের পর দিন এতো অবিকল কথা আর যাপন একজন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব বলেন? এতো ম্যাশিনের মতো সচেতন কোনো মানুষের পক্ষে থাকা সম্ভব না। জ্বিনপালা মানুষ ছাড়া এটা অসম্ভব।

আপনাদের জানা শোনা এমন জ্বিনপালা মানুষের জন্য ভালো কোনো ওঝা টোঝা বা কবিরাজ আছে?
থাকলে প্লিজ একটু যোগাযোগ করবেন।
news24bd.tv/ডিডি