বিচার বিভাগের ওপর সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ, তদন্ত করবে পাকিস্তান

বিচার বিভাগের ওপর সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ, তদন্ত করবে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা দেশটির আদালতের বিচারিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করে এবং বিচারকদের ভয়ভীতি দেখায় বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্তে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আজম নাজীর তারার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার মধ্যে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজম নাজির জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসারের মধ্যে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওই অভিযোগ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ছয়জন বিচারপতির লেখা একটি চিঠি পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিচারপতিরা অভিযোগ করেন, দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ‘ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)’ রাজনৈতিক মামলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ভয় দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মন্তব্য জানতে চাইলে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম কার্যালয় কোনো সাড়া দেয়নি।

তবে বিচারকরা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এর ঠিকানায় যে চিঠি পাঠিয়েছেন সেটা দেখেছে রয়টার্স। প্রধান বিচারপতি ঈসা ওই কাউন্সিলের প্রধান।

চিঠিতে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, গত বছর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় নিতে রাজি না হওয়ায় আইএসআই এর সদস্যরা দুইজন বিচারপতিকে তাদের ‘বন্ধু ও স্বজনদের’ মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।

চিঠিতে ওই ছয় বিচারপতি আরও জানান, তারা এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা সম্পর্কে সে সময়ের প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছিলেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে ‘বিচারিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের যে চেষ্টা আইএসআই করছে সে বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন’।

তখন ওই সময়ের প্রধান বিচারপতি তাদের এই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তিনি বিষয়টি নিয়ে আইএসআই এর প্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি এটাও বলেছিলেন, এ ধরণের হস্তক্ষেপের চেষ্টা আর হবে না।

কিন্তু প্রধান বিচারপতির আশ্বাস সত্ত্বেও বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ অব্যাহত ছিল বলেও চিঠিতে দাবি করেন বিচারকরা।

news24bd.tv/DHL