ক্যাম্পাসে রাজনীতি নয়: কঠোর অবস্থানে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নয়: কঠোর অবস্থানে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক

ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছাত্রের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।   

বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের সঙ্গে জড়িত ইমতিয়াজ হোসেনকে আজ দুপুর ২টার মধ্যে স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার করতে হবে।

এছাড়া আনাস ফেরদৌস, অনিরুদ্ধ মজুমদার, ইমন, সায়েম মাহমুদকেও স্থায়ী একাডেমিক ও হল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

এ সময় তারা ৩১ মার্চের সব পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন।  
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের আন্দোলন নিয়ে অনলাইনে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।  

উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।

এর জেরে তাৎক্ষণিক আন্দোলনে নামে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আংশিক দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বুয়েটে প্রশাসন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন।

এতে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে—

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হয়েছে।

২. এছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম অথবা সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

প্রসঙ্গত, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা পিটিয়ে হত্যা করে। এর পর থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। যার পরি প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা আন্দোলন শুরু করেছেন।

news24bd.tv/আইএএম