পিরোজপুরে পুলিশের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্য গ্রেপ্তার

সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আ্যান্ড অপস) মো: মুকিত হাসান খাঁন।

পিরোজপুরে পুলিশের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্য গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

পিরোজপুরে পৃথক দুটি মামলায় কিশোর গ্যাং এর ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুর সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আ্যান্ড অপস) মো: মুকিত হাসান খাঁন।

গ্রেপ্তার হওয়া কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা হলো মো: লিমন হাওলাদার (১৫), জিসান (১৭), সয়ন রায় (১৬), বাকিদ ইসলাম (১৭), জাকারিয়া শেখ (১৬), মো: সাকিব হাওলাদার (১৬), শামীম শেখ (১৬), মো: হামজা এস্কাদার (১৪), মো: রিফাত মাহমুদ (১৭), শাহরিয়ার রাতুল (১৮), কাওসার মীধা (১৮), সাগর হাওলাদার (১৮), মো: মুন্না জমাদ্দার (১৮), মো: মফিজুল ইসলাম (৩০), মো: আমিরুল (২০)।

এছাড়াও পৃথক মামলায় রাতুল ইসলাম তুর্য (২০), দিব্য মৃধা (২০) এবং শান্ত দত্ত (১৯) কে অপহরণ, আটকে রেখে চাঁদা নেয়াসহ একাধিক অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আ্যান্ড অপস) মো: মুকিত হাসান খাঁন জানান, পিরোজপুর সদর থানা কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্য হাতুরী-চাপাতি, চাইনিজ কুড়ালসহ আটক, ভিকটিম সহ ৩১০০ টাকা উদ্ধার এবং ২ টি মামলা রুজু হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে পিরোজপুর শহরের কৃষ্ণচূড়ার মোড়ে এক গ্রুপের কিশোর অন্য গ্রুপের এক কিশোরকে একা পেয়ে ২০/২৫ জন কিশোর তাদের সঙ্গে থাকা লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি ও হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হাত ভেঙ্গে ফেলে।  
পুলিশ সংবাদ পেয়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৫ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।

ভিকটিমের মা শিউলি বেগম (৪২) বাদী হয়ে উক্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিশোর গ্যাংয়ের বাকী সদস্য ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তারে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে অন্য আরেকটি ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে এক কিশোর-কিশোরী বলেশ্বর নদীর পাড়ে একসঙ্গে ঘুরতে গেলে কিশোর গ্যাং তাদেরকে একসাথে দেখে ধাওয়া করে মেয়ের সঙ্গে থাকা ১৫০০ টাকা নিয়ে যায় ও ছেলেকে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে তার পরিবারের নিকট মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। তার পরিবার নিরুপায় হয়ে ৩১০০ টাকা চাঁদা দেন।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা লিয়াকত আলী সরদার (৪৫) বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ভিকটিমকে রাজারহাট এলাকার শামিম ভিলার নিকট থেকে উদ্ধার করে এবং উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আ্যান্ড অপস) মো: মুকিত হাসান খাঁন আরো জানান, শহরের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সাধারণ জণগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকী সদস্য ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তারে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।

news24bd.tv/DHL