প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করলো শ্রীলঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

বড় স্কোরের পথে 

প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করলো শ্রীলঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রান পাচ্ছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান তুলেছে লঙ্কানরা।

হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দুই ওপেনার নিশান মাদুশঙ্কা, দিমুথ করুণারত্নে এবং ওয়ানডাউনে নামা কুশল মেন্ডিস। এর মধ্যে মেন্ডিস তো সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আউট হন।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন দুই লঙ্কান ওপেনার। সফরকারী দলের ব্যাটারদের দাপটে প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের বোলারদের জন্য কেটেছিল ভীষণ হতাশায়। প্রথম সেশনে উদ্বোধনী জুটিই ভাঙতে পারেনি টাইগার বোলাররা। তবে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই অবশ্য জুটি ভাঙে টাইগাররা।

 

সেশনের শেষদিকে এসে বাংলাদেশ পেয়েছে আরও একটি উইকেট। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সেশনে প্রাপ্তি লঙ্কানদের ২টি উইকেট। ২ উইকেটে ২১৪ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর তৃতীয় সেশনে আরও দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা।

ইনিংসের ২৯তম ওভারে ৯৬ রানে ভাঙে শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দুই রান নিতে গিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন হাফসেঞ্চুরিয়ান মাদুশঙ্কা (৫৭)। কভার বাউন্ডারি থেকে হাসান মাহমুদের থ্রোয়ে উইকেট ভেঙে দেন লিটন দাস।

এরপর অবশ্য ১১৪ রানের আরেকটি জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস এবং দিমুথ করুনারত্নে। সেশনের শেষদিকে এসে এই জুটিটি ভাঙেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ।

ডানহাতি এই পেসারের বাইরের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটে টেনে এনে বোল্ড হন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থাকা করুনারত্নে। ১২৯ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৮৬ রান করেন তিনি।

তৃতীয় সেশনে এসে লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন আগেই। সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে তখন। এমন সময়ই সাকিব আল হাসানের একটি আউট সুইং বলে খোঁচা দিতে গিয়ে ধরা খেলেন তিনি।

৭২তম ওভারের তৃতীয় বলে সাকিবের বলটি ছিল হালকা আউট সুইঙ্গার। মেন্ডিস ফরোয়ার্ডে পুশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্লিপের মাঝে। ডান পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে দু’হাতে বলটি তালুবন্দী করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

১৫০ বলে ৯৩ রান করে আউট হন কুশল মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার রান ছিল তখন ২৬৩। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে দিনেশ চান্ডিমালের সঙ্গে ম্যাথিউজের জুটিটা বড় হয়নি। মাত্র ২৬ রানের। পেসার হাসান মাহমুদের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন ম্যাথিউজ। ২৩ রানে আউট হন তিনি।

news24bd.tv/কেআই