ভারত ও নেপাল থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানির পথে বাংলাদেশ

পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সরকার।

ভারত ও নেপাল থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানির পথে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, এবারের পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়টিও। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রতিবেশী দুই দেশের কাছে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতের সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের মাঝে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির বিষয়ে ভাবছে সরকার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য ভারত ও নেপালের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ  এখন প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত।

নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

সরকার বিদ্যুৎ রপ্তানির কথা চিন্তা করছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন , নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: সিসিইউতে খালেদা জিয়া

এছাড়া, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।

এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপাল বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করেছে। আমরা বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আশা করি বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাটও বক্তব্য রাখেন।

news24bd.tv/ab