বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় সারাদেশের আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থতি নিয়ে ৭২ ঘন্টার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। কোনো এলাকা বড় ধরনের ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়তে থাকলেও সেই তথ্য তুলে ধরে আবহাওয়া অফিস। যদিও রোববার রাতের ঘটনা ছিলো ব্যতিক্রম। সিলেটে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হওয়ার কোনো আগাম তথ্য দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস।
এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে ৭২ ঘন্টার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেখানে এই তিনদিনের কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানা যায়নি।
অথচ রোববার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরী ও আশেপাশের উপজেলায় প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বয়ে যায় এই কালবৈশাখী ঝড়।
এদিকে, অনেককে দেখা গেছে শিলাবৃষ্টির ওজন পরিমাপ করতে। তার একটি এসেছে নিউজ টোয়েন্টিফোরের কাছে। ডিজিটাল স্কেলে মাপা ওই শিলার ওজন ছিল ২০০ গ্রামের বেশি।
এত বড় শিলা মাথায় পড়লে যে কারওই মাথা ফেটে যাওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত এই ঝড়ে আহতের খবর মেলেনি। তবে তখন রাস্তায় থাকা গাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিকশার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোনটির সামনের কাঁচ ভেঙেছে তো কোনো গাড়ির পেছনে। অনেকের বাড়ির টিনের চাল আবার ফুটো হয়ে যায় এতবড় ও ওজনের শিলার আঘাতে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বছরের এই সময়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিকে কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে সাধারণত শিলাবৃষ্টি হয়।
news24bd.tv/SC