অভিনব কৌশলে প্রতারণা, ‘সুফি সাগর’ গ্রেপ্তার

সুফি সাগর গ্রেপ্তার

অভিনব কৌশলে প্রতারণা, ‘সুফি সাগর’ গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

মানবাধিকার সংগঠনের উপদেষ্টা পরিচয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ‘সুফি সাগর সামস’ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। গত শনিবার (৩০ মার্চ) পল্টন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিবি।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকের গন্ডি না পেরোনো ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী কথিত ‘সুফি সাগর সামস’ মানবাধিকার সংগঠনের উপদেষ্টা পরিচয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি করে থাকে।

 এটা জানার পর ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার তারেক আহমেদের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হকের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামের সঙ্গে ডক্টরেট ডিগ্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি  ভুয়া সনদ দেখান। এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তাকে আমেরিকা প্রবাসী এক ভাই এই পিএইচডি সনদ সংগ্রহ করে দিয়েছেন।  

ডিবি আরও জানায়, গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ড ও একটি ডক্টরেট ডিগ্রির ভুয়া সনদ জব্দ করা হয়েছে।

 

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের আড়ালে তিনি একটি চক্র পরিচালনা করে থাকেন। যাদের কাজ হলো সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে তাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন দপ্তর/মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো।  পরে এই চক্রের সদস্যরা সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। যারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে তাদের মনগড়া অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সামাজিক মর্যাদাহানি ও হয়রানি করার ভয় দেখায় এবং চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। অনেকে সামাজিকভাবে হেনস্থার ভয়ে টাকা দিয়ে থাকে। আর চাহিদামতো টাকা না দিলে ভুয়া তথ্য দিয়ে কর্তৃত্ববহির্ভূত সংবাদ সম্মেলন করে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করে।  

এর আগে মানব পাচারের অভিযোগে আমেরিকান অ্যাম্বাসির করা একটি মামলায় আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ডিবি কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়। তারা দীর্ঘদিন দরে এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে জাতিসংঘের ভুয়া আমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে সাধারণ লোকজনকে আমেরিকা পাঠানোর নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।  

এতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত নিজেকে বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি এর মহাসচিব হিসেবে দাবি করে। প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন কমিশনে এ রকম নামের কোনো দলের নিবন্ধন নেই।

news24bd.tv/আইএএম