রোজাদারের জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন আল্লাহ

প্রতীকী ছবি

রোজাদারের জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন আল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক

রোজা আল্লাহর একটি প্রিয় আমল। কোরআন ও হাদিসে রোজা ও রমজানের এমন কিছু পুরস্কারের বর্ণনা এসেছে, যা অন্য আমলগুলোর ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। যেমন রমজানে রোজাদারের জন্য জান্নাত সুসজ্জিত করা, জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া ইত্যাদি। এসব বিষয় রোজা ও রমজানের বিশেষ মর্যাদা প্রমাণ করে।

রোজাদারের জন্য আল্লাহ যে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তা লাভ করার প্রধান শর্ত দুটি :

১. নিষ্ঠার সঙ্গে রোজা রাখা : এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে কদরের রাতে নামাজ পড়ে (ইবাদত করে) তার পূর্ববর্তী সময়ের গুনাহ ক্ষমা করা হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

২. রোজার দাবি পূরণ করা : রোজার প্রধান দাবি হলো আল্লাহভীতি অর্জনকরত পাপ পরিহার করা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, রোজা ঢালস্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মতো কাজ করবে না।

যদি কেউ তার সঙ্গে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুইবার বলে, আমি রোজাদার। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৯৪)

আর যারা রোজার দাবি পূরণ করে না তাদের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, কত রোজাদার আছে যাদের রোজার বিনিময়ে ক্ষুধা ছাড়া আর কিছুই জোটে না। কত নামাজ আদায়কারী আছে যাদের রাত জাগরণ ছাড়া আর কিছুই জোটে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৯০)

জান্নাতের সব জানা যায় না

রোজাদার বা অন্য কোনো নেক আমলের প্রতিদানে আল্লাহ মুমিনের জন্য কী কী পুরস্কার রেখেছেন তা পুরোপুরি জানা সম্ভব নয়। কেননা জান্নাত অদৃশ্য জগতের অংশ। আর অদৃশ্য জগতের সামান্য অংশই আল্লাহ ওহির মাধ্যম মানুষকে অবগত করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউই জানে না তাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ। ’ (সুরা : সাজদা, আয়াত : ১৭)

হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমি আমার নেককার বান্দাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি, যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি, কোনো মানুষের কল্পনায়ও আসেনি। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৯৮)

সুতরাং রোজাদারের জন্য আল্লাহ আরো বহু পুরস্কার রেখেছেন বলে আশা করা যায়।