বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ২ কোটি টাকা লুট করেছে অস্ত্রধারীরা। এছাড়া উপজেলার একটি মসজিদ ঘেরাও করে মসুল্লিদের মোবাইল ফোন ছিনতাই এবং আনসারদের চারটি অস্ত্র লুট করে নেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২ মার্চ) ইফতারের কিছুক্ষণ পরে নামাজ পড়তে যান সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখার কর্মচারীরা। এ সময় আনসারের ৪ সদস্য ব্যাংকের পাহারায় ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রায় ৬০-৭০ জন অস্ত্রধারী ব্যাংকে আক্রমণ করে। প্রথমে তারা ব্যাংকের পাহারায় থাকা আনসার সদস্যদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে বেঁধে রাখে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এ ঘটনার সঙ্গে কেএনএফ-এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সদস্যদের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া বাজারের মধ্যে অবস্থিত ব্যাংকের টাকা লুট করার মতো সাহস কারো নেই।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম জানান, রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা রুমা শাখায় হামলা করেছে বলে জেনেছি। ঘটনার পর থেকে ম্যানেজারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ত্রাসীরা ভল্ট ভেঙে কত টাকা লুট করেছে সঠিক জানি না।
রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈবং মারমা বলেন, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা নামাজের যাওয়ার পর সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা লুট করে। এ সময় ৬০-৭০ জন অস্ত্রধারী ছিল বলে শুনেছি।
রুমা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে আমরা কাজ করছি। ব্যাংক থেকে ঠিক কত টাকা লুট হয়েছে তা ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আসলে বলা যাবে। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করে রেখেছে। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
news24bd.tv/আইএএম