নারীশিক্ষা প্রসারে প্রধানমন্ত্রী সবকিছু করছেন: মতিয়া চৌধুরী

নারীশিক্ষা প্রসারে প্রধানমন্ত্রী সবকিছু করছেন: মতিয়া চৌধুরী

শেরপুর প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, নারীদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া এবং পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে তোলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে সবকিছু করছেন।

আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে শেরপুরের নকলায় উরফা ইউনিয়নের বারমাইসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে উরফা ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির মেধাক্রমানুসারে প্রথম ১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে থ্রি-পিস, নবম শ্রেণির মেধাক্রমানুসারে প্রথম চার জন শিক্ষার্থীর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে প্রাপ্ত সিনথেটিক শাড়ি ও থ্রি-পিস এবং উরফা ইউনিয়নের দরিদ্র, অসহায় মানুষের মধ্যে শাড়ি, ট্রাউজার, টি-শার্ট ও শার্ট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারীশিক্ষাকে অবৈতনিক করেছেন। নারীশিক্ষার্থীদের ঈদসহ পূজাপার্বণে শাড়ি, থ্রি-পিস দিচ্ছেন। বছরের শুরুতে বিনামূল্যে বইসহ দিচ্ছেন আর্থিক প্রণোদনা। এর অর্থ একটাই, নারীরা যেন সমাজে অবহেলিত না থাকে।

তারা যেন পরিবারের বোঝা না হয়ে উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারকে সচ্ছলতা দিতে পারেন। দেশের অর্নৈতিক চালিকাশক্তিকে আরও গতিশীল করতে পারেন।

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, আমি যখন যা পাই, তা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করি। এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করি। ইচ্ছে করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে আমরা আর্থিক প্রণোদনাসহ ঈদ উপহারের আওতায় আনতে পারি। সে সামর্থ আমাদের রয়েছে। কিন্তু এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে লেখাপড়া নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকবে না। সুতরাং, প্রণোদনা পেতে হলে ঈদ উপহার পেতে হলে তাদেরকে অবশ্যই পরিশ্রম করে ভালো ফলাফল করতে হবে। প্রতিযোগিতায় যারা টিকবে শুধু তারাই প্রণোদনা ও ঈদ উপহারের আওতায় আসবে।

news24bd.tv/SHS