গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া কালেক্টর বাজার থেকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পেরে খুশি নিম্নআয়ের মানুষ। এ ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মোল্লা, উপজেলা সদরের বেলায়েত হোসেন শেখ, কোটালীপাড়া উপজেলার মো. জাফর হোসেন দাড়িয়া, মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রামের রহিমা বেগম, কাশিয়ানী উপজেলার আমিন সিকদারের মতো অনেকেই।
তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে জেলা প্রশাসন ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে বাজার বসিয়েছেন। এই বাজারে এসে আমরা কমদামে জিনিসপত্র কিনতে পারছি।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে একযোগে উদ্বোধন করা হয় ‘কালেক্টর বাজার। ’ গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় ছয়টি স্থানে কালেক্টর বাজারের উদ্বোধন করেন। এদিন সকালে প্রথম উদ্বোধন করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের বটতলায় কালেক্টর বাজার এবং অপরটি উপজেলা সদরের খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের পাশে। দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার কিচেন মার্কেটে একটি দোকান, মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রাম বাজারে একটি, কাশিয়ানী উপজেলার থানা সংলগ্ন বাজার এলাকায় একটি।
এর আগে জেলা সদরের লঞ্চঘাট এলাকায় কালেক্টর বাজার উদ্বোধন করা হয়।
এসব কালেক্টর বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার জন্য রীতিমত ভীড় করছে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ। তারা লাইনে দাঁড়িয়ে কম দামে পণ্য কিনছে। অন্যসব বাজারের তুলনায় কম দামে পণ্য কিনতে পেরে খুশি মনে বাড়ি ফিরছে। জেলা সদরে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা একত্রিত হয়ে এবং উপজেলাগুলোতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের সহাযোগিতায় এসব কালেক্টর বাজার পরিচালিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, বিত্তবানরা আমাদের টার্গেট নয়। আমাদের উদ্দেশ্য দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। তারা যাতে স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করতে পারে বা ভালো থাকতে পারে। আমরা সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কালেক্টর বাজার শুরু করেছি। প্রতিটি উপজেলায় পাইলট হিসেবে দুইটি করে কালেক্টর বাজার স্থাপন করা হবে। আজ জেলার পাঁচটি উপজেলায় একযোগে কালেক্টর বাজার চালু করা হয়েছে। আমরা কয়েকমাস এটা পর্যবেক্ষণ করব। ফলাফল ভালো হলে এই বাজারগুলোই স্থায়ীভাবে থেকে যাবে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কালেক্টর বাজার বসানো হবে। এসব বাজার জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তদারকি করবে। আশা করি কালেক্টর বাজারের মাধ্যমে জনগণ সুফল পাবে।
news24bd.tv/তৌহিদ
