ভয়াবহ খরায় জিম্বাবুয়েতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা

সংগৃহীত ছবি

ভয়াবহ খরায় জিম্বাবুয়েতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক

বেশ কয়েক বছর ধরেই ভয়াবহ খরায় ভুগছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া ক্ষুধা মোকাবিলায় বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসির।

প্রতিবেশী জাম্বিয়া ও মালাউইও সম্প্রতি খরার কারণে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে চলমান এই খরা হবে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী খরা মোকাবিলায় জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া দেশটিতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন। নানগাগওয়া বলেছেন, কম বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট খরা ও ক্ষুধা মোকাবিলায় ২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

মূলত বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে দেশটির প্রায় অর্ধেক ভুট্টা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আর শস্যের ঘাটতির কারণে দেশটিতে খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। যার ফলে আনুমানিক ২৭ লাখ মানুষ ক্ষুধার মুখোমুখি হবে। এছাড়া প্রতিবেশী জাম্বিয়া এবং মালাউইও সম্প্রতি খরার কারণে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে চলমান এই খরা হবে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ বর্তমানে এই অঞ্চলে ‘সংকট স্তরের’ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া বুধবার বলেন, জিম্বাবুয়ের জন্য খাদ্য সুরক্ষিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার। জিম্বাবুয়ের কোনও নাগরিককে ক্ষুধায় আত্মহত্যা করতে বা মরতে হবে না।

একসময় জিম্বাবুয়ে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফসল এবং গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছে দেশটি।

আফ্রিকার এই দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ খরা ঘটেছিল ১৯৯২ সালে। সেসময় দেশটির গবাদি পশুর এক-চতুর্থাংশই মারা যায়। সম্প্রতি আবার শুষ্ক আবহাওয়া ফিরে এসেছে। এর আগে, ২০১৬ এবং এরপর ২০১৯ সালেও দেশটিতে খরা ঘোষণা করা হয়েছিল।

news24bd.tv/DHL