ময়মনসিংহে ৫৫০ টাকায় টাকায় গরুর মাংস এবং ১০০ টাকায় এক ডজন ডিম কিনতে পেরে জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে চলতি রমজানের প্রতি সপ্তাহের দুইদিন ৫৫০ টাকায় ভর্তুকি দামে এককেজি গরুর মাংস এবং ১০০ টাকায় এক ডজন ডিম বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এই মাংস ও ডিম বিক্রয় কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শত শত নারী পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস কিনতে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
কমদামে মাংস ও ডিম কিনতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নগরীর চরঈশ্বরদিয়া এলাকার বাসিন্দা মোছা. নারজিফা খাতুন। তিনি বলেন, ডিসি স্যারের এই উদ্যোগে আমরা খুশি। তাই দূর থেকে কম দামে মাংস কিনতে এসেছি।
একই মন্তব্য করেছেন নগরীর সানকিপাড়া এলাকার রাসেল সরকার, কালীবাড়ি এলাকার আহাম্মদ হোসেনসহ আরও অনেকেই।
মাংস ও ডিম কিনতে আসেন আকুয়া চুকাইতলা এলাকার বাসিন্দা শাহিদা ও মনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, মাংস বিক্রির সময়ে লাইনে টোকেন দিলে ভালো হয়। এতে বাড়তি লোক লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস না পেয়ে কষ্ট পাবেন না।
কমদামে মাংস কিনতে পারবেন এ আশা নিয়ে ছুটে এসেছেন নগরীর জামতলা মোড় এলাকার বাসিন্দা নাসিমা আক্তার। তিনি বলছেন, এই রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক কষ্টের কাজ। তারপরও যদি মাংস কিনতে পারি তাহলে ভালো লাগবে।
এ ব্যাপারে কথা হলে জেলা ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় দিনে আজ ৫৫০ টাকায় ভর্তুকি দামে এক হাজার ১৩৮ কেজি গরুর মাংস এবং ১০ হাজার ডিম বিক্রি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ভর্তুকি দামে জনসেবার কাজ করছে জনপ্রশাসন। এতে ভর্তুকির পরিমাণ অনেক, তবুও আমরা চেষ্টা করছি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর আমিষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে।
তবে রমজানের পর এই উদ্যোগটি চালু থাকবে কি না জানতে চাইলে ডিসি বলেন, ভর্তুকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ২১ মার্চ থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। জেলা প্রশাসনের নিজস্ব তহবিল থেকে কিছু ভর্তুকি দিয়ে এবং সমাজের দানশীল ব্যক্তির সহযোগিতায় সপ্তাহের প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার এই কার্যক্রম চলছে।
news24bd.tv/তৌহিদ
