সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের তাণ্ডব ও ব্যাংক লুটের পর বান্দরবানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিনা প্রতিরোধে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় সামনে কী ঘটবে তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে স্থানীয়দের মনে। দুইদিনেও লুট হওয়া অস্ত্রের হদিস মেলেনি। জেলাজুড়ে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান।
এদিকে, রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। তোলা যাচ্ছে না ঈদের বেতন-বোনাসও।
বান্দরবান থেকে শেখ জায়েদ
রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাঁকা। কমে গেছে ঘরের বাইরে লোকজনের চলাচল।
দুই বছর ধরে একের পর এক হত্যা-সহিংসতার ঘটনায় যে আতঙ্কের জন্ম হয়েছিল পাহাড়ে, সেই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর পর.. মুক্তির আশা জাগতে শুরু করেছিল মানুষের মনে। কিন্তু ১৬ ঘণ্টায় বান্দরবানের তিনটি ব্যাংক শাখায় হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় উবে গেছে সেই আশা; সেই সংগঠনের নাম ফের আতঙ্ক হয়ে ঘিরে ধরেছে পাহাড়কে। আগামী দিনগুলোতে কী ঘটবে তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে স্থানীয়দের মনে।
এদিকে, বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ৩ উপজেলার গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে।
যদিও জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তোলা যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ঈদ সামনে রেখে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা।
২০২২ সালের শুরুর দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ নামে সশস্ত্র সংগঠনটির উত্থান।
news24bd.tv/তৌহিদ