আপনজন হারানোর বেদনা কি বোঝে আন্তর্জাতিক পুরস্কার?

ইনাস আবু মামারের কোলে ভাতিজির মৃতদেহ, এই সেই বিখ্যাত ছবি, আলজাজিরা

আপনজন হারানোর বেদনা কি বোঝে আন্তর্জাতিক পুরস্কার?

অনলাইন ডেস্ক

যে আপনজন হারায় সে-ই বোঝে হারানোর বেদনা।  মাত্র ৫ বছরের ভাতিজির মৃত্যুতে তিনি মূহূর্তে যেন স্তব্ধ হয়ে যান। কিছুক্ষণের জন্যে এ নারীর সামনে পৃথিবী থমকে দাড়ায়।  অথচ সবাই তখন ছুটছে।

এই নারীর নাম, ইনাস আবু মামার। বয়স মাত্র ছত্রিশ। আর জড়িয়ে থাকা মৃহদেহের শিশুটি তার ভাতিজি, নাম স্যালি।
তিনি শুধু বিলাপ করছিলেন, ‘আমি আর পারছি না।
আমাকেও মেরে ফেলো। ’ এই ঘটনা গতবছরের ১৭ অক্টোবরে। গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনুস এলাকায় নাসের হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলার পর মানুষজনের যেন কোনো হুঁশ ছিল না। তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দৌড়াচ্ছিল। তাদের প্রিয়জনের কি পরিণতি হয়েছে তা জানতে উন্মাদের মতো আচরণ করছিলেন। সেসময় পেশায় ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক মোহাম্মদ সালেম যাচ্ছিলেন ওপথে। তার নজরে পড়ে ওই নারীর বিলাপ। ছবি তোলেন কয়েকটি। এরমধ্যে একটির ক্যাপসন দেন, ‘এ প্যালেস্টাইনিয়ান ওম্যান এমব্রেসেস দ্য বডি অব হার নাইস’ অর্থাৎ ফিলিস্তিনি এক নারী তার ভাতিজির মৃতদেহ জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন। আলজাজিরা প্রকাশ করে পরদিন।  
এরপর প্রায় ৫ মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল) জানা গেল, এ ছবিটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে। সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে। ফটোসাংবাদিক মোহাম্মদ সালেমের কাছেও খবরটি পৌঁছায়। তিনি ওয়ার্ল্ড ফটো ডটকমকে বলেন, ‘আপনজন হারানোর বেদনা কি বোঝে আন্তর্জাতিক পুরস্কার? সূত্র , ব্লুমবার্গ।  

news24bd.tv/ডিডি