শবে কদরের ৩ আমল

শবে কদরের ৩ আমল

শবে কদরের ৩ আমল

অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর আজ (শনিবার, ৬ এপ্রিল)। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে এদিন সন্ধ্যা পর থেকে সারাদেশে পবিত্র শবে কদরের রজনী পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন।

ইসলামের দৃষ্টিতে বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী শবে কদর।

রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। তবে কোন রাতটি শবে কদর, তা কোরআন-হাদিসে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, রমজানের ২৭তম রাতই (২৬ রমজান দিবাগত রাত) শবে কদর। এখানে হাদিসের আলোকে শবে কদর সম্পর্কিত তিনটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো—

নামাজ ও ইবাদত
শবে কদরের নির্দিষ্ট কোনো আমল হাদিসে বর্ণিত হয়নি।

তবে বেশি বেশি ইবাদত করা এবং রাত জাগার কথা এসেছে। মহানবী (সা.) কদরের রাতে ইবাদত ও নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের জন্য রাত জাগবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। ’ (বুখারি: ৩৫) 

তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা
কদরের রাতে আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ হয়ে তওবা করা এবং জীবনের যাবতীয় গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা হাদিসে এসেছে। আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)কে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সেই রাতে কী বলব?’ তিনি বলেন, ‘তুমি বলো—আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি। অর্থাৎ, হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন। ’ (তিরমিজি: ৩৫১৩) 

বিজোড় রাতকে গুরুত্বদান
 ২৭তম রাতেই লাইলাতুল কদর হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই এই রাতের ফজিলত পেতে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত করা উচিত। কেননা, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো। ’ 
(বুখারি: ২০১৭)

news24bd.tv/aa