‘পাকিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসীদের হত্যা করতে চায় ভারত’

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছবি: সংগৃহীত

‘পাকিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসীদের হত্যা করতে চায় ভারত’

অনলাইন ডেস্ক

ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সীমান্ত পার হয়ে পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের হত্যা করতে পাকিস্তানে প্রবেশ করবে ভারত। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সিএনএন নিউজ১৮ কে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে ভারত সরকার পাকিস্তানে অন্তত ২০ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।

বিদেশের মাটিতে বসবাসরত সন্ত্রাসীদের নির্মূলের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে তারা। গার্ডিয়ানের এই প্রতিবেদনের এক দিনের মাথায় এই মন্তব্য করলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

রয়টার্স ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জানতে চাইলেও তারা সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।

তবে পাকিস্তান ‘জঙ্গিদের’ আশ্রয় দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। প্রতিবেদন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে রাজনাথ সিং চ্যানেলকে বলেন, ‘ভারত সব সময় তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ... কিন্তু কেউ যদি ভারতকে বারবার রাগান্বিত চোখ দেখায় বা ভারতে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করে, আমরা তাদের রেহাই দেব না। ’

কাশ্মীরে একটি ভারতীয় সামরিক বহরে ২০১৯ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক ‘জঙ্গিদের’ সন্ধান পাওয়ার পর থেকে দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এ ঘটনার পর নয়াদিল্লি পাকিস্তানের একটি ‘জঙ্গি ঘাঁটিতে’ বিমান হামলা চালায়।

চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তান বলেছিল, তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, ভারত দুই নাগরিককে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের এই অভিযোগকে মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা হিসেবে উল্লেখ করেছে ভারত।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারত হত্যা বা হত্যার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠার কয়েক মাস পর দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলো।

গত বছর সেপ্টেম্বরে কানাডা বলেছিল, জুন মাসে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গুলি করে হত্যায় ভারতের যোগসূত্র থাকার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। ভারত ওই দাবিকে অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেছিল। এর জেরে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।

তবে জানুয়ারিতে কানাডার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে ভারত সহযোগিতা করছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে।

news24bd.tv/DHL