নাইজেরিয়ায় পশুপালকদের হামলায় অন্তত ২১ গ্রামবাসী নিহত

সংগৃহীত ছবি

নাইজেরিয়ায় পশুপালকদের হামলায় অন্তত ২১ গ্রামবাসী নিহত

অনলাইন ডেস্ক

নাইজেরিয়ার কোগি রাজ্যের ওমালা অঞ্চলে বন্দুকধারী পশুপালকরা কমপক্ষে ২১ জন গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ মার্চ) বাসিন্দারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনা আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে পশুপালক এবং কৃষকদের মধ্যে বিদ্যমান ভূমি নিয়ে সংঘর্ষে আরো আগুন ঢেলে দিয়েছে। খবর বিবিসির।

স্থানীয় এলাকার চেয়ারম্যান এডিবো আমেহ মার্ক বলেছেন, প্রায় ২১ জনকে শুক্রবার ভোরে দাফন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফুলানি পশুপালকরা এই হামলা চালায়। এ ঘটনার  তিন দিন আগে গ্রামবাসীরা ফুলানি পশুপালকদের ৬ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে দুইজনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।

সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই ২১ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে তারা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্থানীয় কৃষক এবং পশুপালকদের মধ্যে সহিংসতা বেড়ে গেছে এবং দিনে দিনে তা সাধারণ ঘটনায় পরিণিত হচ্ছে। দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কৃষি জমির প্রয়োজন পড়ছে। ফলে গবাদি পশুপালদের পশু চরানোর জন্য জমি কমে যাচ্ছে। এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে।  

স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক ইলিয়াস আতাবো (৫৪) বলেছেন, ‘এটি দুঃখজনক, আমরা কখনই এমন কিছু আশা করিনি। আক্রমণটি ৪৫ মিনিটের কম সময় ধরে হয়েছে। ’

অন্য এক বাসিন্দা আতাবর জুলিয়াস জানান,‘গত বৃহস্পতিবার ১০০ জন পশুপালক আমাদের গ্রামে আক্রমণ করে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে ১৫ জনের লাশ পাওয়া যায় এরপর আরো ১৯ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই বয়স্ক মানুষ। তারা হামলাকারীদের হাত থেকে পালাতে পারেনি।

রয়টার্স এ বিষয়ে পুলিশের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। কোগি নাইজেরিয়ার মধ্য বেল্ট রাজ্যগুলো মধ্যে একটি।  এর উত্তরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বসবাস করে এবং উত্তরে প্রধানত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর মানুষ বসবাস করে। ভূমি নিয়ে কৃষক এবং পশুপালকদের জটিলতা আগে থেকেই রয়েছে। পাশাপাশি জাতিগত এবং ধর্মীয় সহিংসতাও রয়েছে।

news24bd.tv/DHL