তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি আসন্ন?

সংগৃহীত ছবি

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি আসন্ন?

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের দুই প্রান্তে চলছে দুটি ভয়াবহ যুদ্ধ। এছাড়া সাম্প্রতিক নানা ঘটনাবলীতে অনেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। সম্প্রতি ভারতীয় ভূ-কৌশলবিদ, কলামিস্ট এবং ভূ-কৌশলগত বিষয়ে লেখক ব্রহ্মা চেলানি তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে লেখেন, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি যে দুটি যুদ্ধে জড়িত তা ঠিক মতো কাজ করছে না। পররাষ্ট্রনীতির বিকল্পগুলি সঙ্কুচিত হচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তাইওয়ান যুদ্ধকে সামনে এনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কে বারবার আদালতের মুখোমুখি করতে চাইছেন।

এটি আংশিকভাবে তার কোয়াডের নরম-পেডেলিংকে ব্যাখ্যা করে, এমনকি একটি ভার্চুয়াল সামিটও কেও আয়োজন করতে পারেনি।

ব্রহ্মা চেলানি একজন ভারতীয় ভূ-কৌশলবিদ, কলামিস্ট এবং ভূ-কৌশলগত বিষয়ে লেখক। তিনি নয়াদিল্লির সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের কৌশলগত অধ্যয়নের অধ্যাপক।

তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য এবং এর খসড়া পারমাণবিক মতবাদের লেখক ছিলেন। তিনি প্রজেক্ট সিন্ডিকেটের নিয়মিত কলামিস্ট।

এর আগে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশংকা নিয়ে বলেন, ইউরোপের দরজায় যুদ্ধ কড়া নাড়ছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন হেরে গেলে ইউরোপের কোনও দেশই আর নিরাপদ থাকবে না । পুতিন চাইবেন ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়া দেশগুলোকেও শায়েস্তা করতে। যুদ্ধ এখন বাস্তবতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আরেক বড়ো যুদ্ধ সমাগত।

তিনি বলেন, ইউরোপের সম্মিলিত স্বার্থের কারণেই রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনকে হারতে দেওয়া যাবে না। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডি ভেল্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোলিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপ একটি যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থায় আছে এখন। কিন্তু প্রস্ত্তুতি নেই। এটিই এখন বাস্তব এবং দুই বছর আগেই এটি শুরু হয়ে গেছে। ’

ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে কয়েকদফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এই সতর্কবার্তা দিলেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্ট হলে হামলার ঘটনায় কোনও প্রমাণ ছাড়াই ইউক্রেনকে দায়ী করছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা বাড়ানোর ন্যায্যতা প্রমাণ করতে চাইবেন সেটি স্পষ্ট।

পুতিনের হাত ধরে পারমাণবিক সংঘাতের সূত্রপাত হোক বা না হোক, ইউরোপের জন্য অপেক্ষা করছে আরেক বিপদ! ইউরোপীয় নেতাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে ‘ডোনাল্ট ট্রাম্পের ফিরে আসার সংবাদ’। মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় লাভের মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরতে পারেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপীয় নেতাদের ধারণা, সত্যি সত্যিই যদি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসেন, তাহলে ইউরোপের কপালে দুঃখই আছে! নেতাদের এ ধরনের চিন্তার পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ন্যাটো নিয়ে বার বার বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। এই সংগঠনকে ‘অপ্রচলিত, অকার্যকর’ ইত্যাদি বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন। এমনকি ট্রাম্প এখনো চরম ন্যাটো-বিদ্বেষী। নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণাতে ন্যাটো সম্পর্কে বিষোদগার করা বন্ধ করেননি। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, ‘ন্যাটো তহবিলে নিয়মিত অর্থ প্রদান না করা সদস্য রাষ্ট্রদের বরং রাশিয়ার আক্রমণ করাই ভালো!’

news24bd.tv/DHL