বৈশাখের আমেজে সেজেছে কানাডার টরেন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ডেন্টোনিয়া পার্ক। এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের। পবিত্র রমজান শেষ হলেই বৈশাখী হাওয়া জেগে উঠবে নতুন করে। ইতোমধ্যে শোভাযাত্রার জন্য শিল্পীদের আঁকা নান্দনিক মুখোশ, মুকুটসহ লোকজ উপকরণ বিতরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
টরোন্টোতে বসবাসরত প্রবাসী এবং চারুকলার শিল্পীরা রাতদিন পরিশ্রম করে এসব ব্যানার ফেস্টুন ও মুখোশ তৈরি করেছেন।পহেলা বৈশাখের মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণে দুপুর ১টায় মেট্রো পার্কিং থেকে শুরু করে ডেন্টোনিয়া পার্কে সবাইকে সমবেত হবার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা। সারা দিনব্যাপী প্রাণের মেলায় মিলবে বাঙালিয়ানা আড্ডা আর লোকজ সংস্কৃতির পণ্য সামগ্রী। এছাড়াও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এবারের পহেলা বৈশাখে টরেন্টোর মঙ্গল শোভাযাত্রায় এক অন্য মাত্রার সংযোজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের চারুকলার প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীর সমন্বয়ে গঠিত টরন্টো আর্ট কোয়েস্ট। মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য তাদের তৈরি শিল্পকর্মগুলো পুরোপুরি ঢাকার চারুকলার আদলে তৈরি।
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসমা আহমেদ বলেন, পহেলা বৈশাখ উৎসব আমাদের বাঙালি জাতির পরিচয় তুলে ধরতে পারে বিশ্বের নানা ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের কাছে। বৈশাখী আয়োজন একক কোনো সংগঠনের কৃতিত্ব নয়। বাঙালির সম্মিলিত উৎসব সবার উপস্থিতিতে আমরা যে অংশীদার হতে পারবো এটাই একজন বাঙালি হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।
তিনি আরও বলেন, কানাডায় বসবাসকারী বাঙালির বন্ধন এই বৈশাখী উৎসব। মঙ্গল শোভাযাত্রা এই উৎসবের একটি অংশ মাত্র। মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনে সকল পেশার নাগরিকদের উপস্থিতি আমাদের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করবে।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মেরী রাশেদীন বলেন, সব দুঃখের স্মৃতি ভুলিয়ে নতুন নতুন আনন্দে ভরা স্মৃতি তৈরি করার সময় চলে এসেছে। তাই পহেলা বৈশাখের এই শুভ দিনটিকে পরিবারে সঙ্গে, বাংলা কমিউনিটির সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করবো।
আর্ট কোয়েস্টের সোনিয়া জাহান বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনে সকল পেশার নাগরিকদের উপস্থিতি আমাদের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করবে। তাই আমার ও আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এতে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।
news24bd.tv/ab