নড়েচড়ে বসেছে রাঙামাটি প্রশাসন

নড়েচড়ে বসেছে রাঙামাটি প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে রাঙামাটির প্রশাসন। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এরই মধ্যে রাঙামাটির চারটি উপজেলাকে দুর্গমতার কারণে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- রাঙামাটির রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা।

পাহাড়বাসিদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। ব্যাংকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আনা হয়েছে। অব্যাহত আছে যৌথবাহিনীর টহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির ১০টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম প্রত্যন্ত  ও সীমান্তবর্তী উপজেলা হচ্ছে রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি।

এসব উপজেলাগুলোতে আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উৎপাত আগে থেকে থাকলেও অস্তিত্ব ছিল না কুকি চিন নামের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কোন সক্রিয়তা।

তবে সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় বান্দবানের থানচির ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পর বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এসব উপজেলাগুলোতে।

প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, রাঙামাটির জুরাছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি উপজেলার চেয়ে শঙ্কা রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলায় বেশি। কারণ বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এলাকা রাঙামাটির ওই দুই উপজেলা। এ উপজেলায় আগেই সক্রিয় ছিল মারমা লিবারেশন পার্টি ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ), যা বম পার্টি নামেও পরিচিত।

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাদের দৌরাত্ম্য। বান্দরবান ও রাঙামাটির দুইটি উপজেলা বিলাইছড়ি ও রাজস্থলীতে এরই মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এ কুকি চিন গ্রুপটি। বিশেষ করে বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও পুলিশের থানায় হামলার ঘটনার পর আতংক ছড়িয়েছে কয়েকগুণ। উপজেলাবাসির মধ্যে বিরাজ করছে চাপা আতংক।

তবে এখনো পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ। তিনি বলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, গোয়িন্দা সংস্থা কঠোর অবস্থানে আছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে। নাশকতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবেনা। রাঙামাটির রাজস্থলী ও বিলাইছড়িতে একটু বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারণ বান্দরবানের সাথে সংযুক্ত এসব উপজেলা। সীমান্ত দিয়ে সক্রিয়তা আছে কুকি চিনদের। তাই ওই সব উপজেলা ঘিরে নিরাপত্তার কমতি নেই। একইসাথে রাঙামাটির অপর তিন উপজেলা বরকল, জুরাছড়ি ও বাঘাইছড়িতেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক