ব্রাজিলে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পেতে পারে বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

ব্রাজিলে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পেতে পারে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাজিলের কাছে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায় বাংলাদেশ। রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সাক্ষাৎতের পর  বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা জানান।  

তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে বাংলাদেশকে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। বাংলাদেশ এই শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।

ব্রাজিলও যেহেতু বাংলাদেশের মতোই গ্রোয়িং ইকোনমিক কান্ট্রি, তারাও তাদের স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। দেশটি শুধু বাংলাদেশ ও চীন থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে। চাহিদার বাকিটা তারা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার চেষ্টা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে ব্রাজিল কথা দিয়েছে যে, তারা শুধু সে দেশে নয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি যেন আশপাশের দেশগুলোতেও রপ্তানি করা যায়, সে ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
আমরাও ব্রাজিলকে কেন্দ্র করে এমনভাবে যোগাযোগ করছি, যাতে দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশেও তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারি। ’

সাক্ষাতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা বলেন, ‘ব্রিকসে যুক্ত হতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে ব্রাজিল। ’ 

আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যাল সামগ্রী ব্রাজিলে রপ্তানি করা যায়, সেইসঙ্গে বহুমুখীকরণের আওতায় চামড়াজাত পণ্যের প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে গরুর মাংস পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। ব্রাজিল কম দামে গরুর মাংস পাঠাতে পারে বলে আজকের আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। ’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু সস্তায় ব্রাজিল গরুর মাংস দিতে পারে। আমি বলেছি আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে করে জীবিত গরু পাঠাও। ’  

তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলের বাংলাদেশে গরুর মাংস প্রক্রিয়াজাত কারখানা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবেব জবাবে আমরা তাদের বলেছি শুধু বাংলাদেশের মার্কেটের জন্য নয় ; এশিয়া বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে মাংস রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে প্রক্রিয়াজাত কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে পারে তারা। ’

বাংলাদেশে অ্যানিম্যাল প্রোটিন আমদানি সংরক্ষণ- প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পোলট্রি ও গরুর মাংস আমদানি করি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা স্টাডি করব, তারপরে দেখা যাবে (ব্রাজিল) কত দামে দিতে পারে। ’

আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রাজিলে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ ব্যাপারে তাদের কোনো অসুবিধা নেই, তাদের কিছু লাইসেন্সগত প্রক্রিয়া আছে, ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন আছে- এ বিষয়ে বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। ব্রাজিলের পক্ষে কোনো অসুবিধা নেই। ’

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক