তাপমাত্রার পরিবর্তন কোনো নতুন জিনিস না। কখনো তাপমাত্রার পারদ বেড়ে যাওয়া আবার কখনো কমে যাওয়া নিয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সবসময়ই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ান গণমাধ্যমের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ১৮ মার্চ পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর বরফে ঢাকা পূর্ব দিকের মালভূমি কনকর্ডিয়া গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা একটি তাজ্জব ঘটনার কথা লিপিবদ্ধ করেন।
এ যাবৎকালে বিশ্বের কোনো আবহাওয়া কেন্দ্রের নজরে না আসা এক তাপমাত্রার লাফের কথা সেখানে বলা হয়।
মেরু গবেষকেরা বিশ্বের সবচেয়ে হিমশীতল জায়গায় তাপমাত্রার লাফকে বর্ণনা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে প্রতিষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক দলের নেতা অধ্যাপক মাইকেল মেরেডিথ বলেন, বিষয়টি এককথায় বুদ্ধি গুলিয়ে দেওয়ার মতো।
অধ্যাপক মাইকেল মেরেডিথ আরও বলেন, শূন্য অঙ্কের নিচে থাকা তাপমাত্রায় এত বড় উল্লম্ফন সহনীয়।
এই ঘটনা নিয়ে যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমবাহ বিজ্ঞানী অধ্যাপক মার্টিন সিগার্ট একই রকম এক বিস্ময়কর তথ্য জানান। যুক্তরাজ্যের পত্রিকা অবজারভারকে তিনি জানান, এটা সাধারণ সীমার বাইরের বিষয় যা সত্যিই উদ্বেগের। কারণ আমরা কখনোই এমনটা ভাবিনি। আমাদের এমন কিছুর সাথে লড়তে হচ্ছে যা নজিরবিহীন।
news24bd.tv/SC
