বাংলাদেশ থেকে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তবে এসব অর্থের সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ এবং নথিভুক্ত করতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি। বর্তমানে সেই কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা সম্পন্ন হলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান গভর্নর। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩-২৪ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাচার রোধে যৌথ তদন্ত দল কাজ করছে ড. মনসুর জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে যৌথ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও তদন্ত দল গঠন করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, সঠিকভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও...
দেশের ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে: গভর্নর
নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন সনাক্ত ১৭,৩৪৫টি। সেটা বছর ব্যবধানে ২২.৯৬ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা-বিএফআইইউ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে পাচারকৃত অর্থ দেশে আনতে সময় লাগছে জানিয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে পাচারের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএফআইইউ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময় গভর্নর আরও জানান, প্রথমে ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হবে। এরপর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। তবে এতে ডিপোজিটরদের চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই বলে জানান গভর্নর। news24bd.tv/FA
সংকটে থাকা ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ
অনলাইন ডেস্ক

উচ্চ খেলাপি ঋণ ও গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে না পারা এবং দীর্ঘদিন ধরে সংকটে থাকা ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) নিবন্ধন সনদ বা লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে এনবিএফআইয়ের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে এই চিঠির জবাব। কেন্দ্রীয় ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিঠির জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাতে এসব প্রতিষ্ঠান একীভূত বা অবসায়নের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে ২০টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে, সেগুলো হলো সিভিসি ফাইন্যান্স, বে লিজিং, ইসলামিক ফাইন্যান্স, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, হজ্জ ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স, আইআইডিএফসি, প্রিমিয়ার...
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি অশান্তিতে জর্জরিত শিল্প প্রতিষ্ঠান
অনলাইন ডেস্ক

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আর্থিক অসুবিধা এবং আইন প্রয়োগের কড়াকড়ির ফলে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে একধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। শিল্প খাত আরও গভীর সংকটে জড়িয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত। সারাদেশে উদ্যোক্তারা ঘাবড়ে রয়েছেন। ব্যবসায়ীদের ওপর যেনো একধরনের অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, বেশ কয়েকজন হাই-প্রোফাইল শিল্পপতি তদন্তের আওতায় এসেছেন। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে তাদের তলব করার পাশাপাশি আইনি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সব চলছে চাঁদাবাজি অন্তরালে। উদ্বেগজনকভাবে, হত্যাকাণ্ডসহ- উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফৌজদারি অভিযোগও তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তথ্য বলছে, শিল্প পণ্য আমদানির জন্য ব্যবহৃত ক্রেডিট (এলসিএস)- ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (এফওয়াই ২৫) প্রথম নয় মাস...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর