ক্রমশই দুর্বল হচ্ছে জান্তা সরকার: থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন এবং জান্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং

ক্রমশই দুর্বল হচ্ছে জান্তা সরকার: থাই প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে বিদ্যমান সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাথে লড়াইয়ে ইতোমধ্যে যথেষ্ট শক্তি হারিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সোমবার (৮ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে অনেকটা শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তবে এখনি তাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ সময় তিনি আরও জানান, আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এখনি চুক্তির আদর্শ সময়।

থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমার প্রতিবেশী দেশ। এই দুটি দেশই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দশটি দেশের আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সদস্য।

২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এই অভুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ক্ষমতা দখলের পর গঠিত সামরিক সরকারের প্রধানও হন তিনি।

অভ্যুত্থানের সময়েই বন্দি করা হয়েছিল অং সান সুচি, তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি’র (এনএলডি) হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি জনগণ প্রথম দিকে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে সেসব বিক্ষোভ দমন করেছে সামরিক সরকার।

তবে তার পর থেকে গণতন্ত্রপন্থি জনগণের একটি অংশ যোগ দিতে শুরু করেন সামরিক বাহিনী বিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীতে। গত বছর অক্টোবর থেকে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একযোগে হামলা শুরু করে সামরিক বাহিনীর ওপর। এখনও সেই সংঘাত চলছে এবং ইতোমধ্যে দেশটির প্রায় ১০ শতাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই সংঘাতের শেষ পরিণতি হবে মিয়ানমারের টুকরো টুকরো হওয়ার মধ্যে দিয়ে। থাই প্রধানমন্ত্রী জানান, মিয়ানমার আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। থাইল্যান্ড সর্বদা মিয়ানমারকে ঐক্যবদ্ধ, উন্নয়ন এবং শান্তির পথে দেখতে চায়। (সূত্র: রয়টার্স)

news24bd.tv/SC