রাজধানীতে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা 

ছেলে সাদাব ও বাবা মশিউর রহমান

রাজধানীতে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা 

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তালতলা মোল্লাপাড়ার একটি বাসা থেকে বাবা মশিউর রহমান ও ছেলে সাদাবের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে মশিউরের স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি শেরে বাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।  

এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে ওই বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিভাবে পুলিশ ধারণা করে, কলেজপড়ুয়া ছেলে মোদাব্বির হোসেন সাদাবকে (১৮) শ্বাসরোধে হত্যার পর মশিউর রহমান ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ সময় মেয়ে সিনথিয়াকেও হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এ ঘটনার জন্য ‘কেউ দায়ী নয়’ জানিয়ে মশিউর একটি সুসাইড নোট লিখে গেছেন।

নিহত মশিউরের স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি জানান, মশিউর জমি কিনে প্রতারিত হয়েছিলেন। এছাড়া আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে শেয়ারবাজারের ব্যবসা করেও ক্ষতিগ্রস্ত হন।

এসব কিছু নিয়ে তিনি আর্থিক চাপে ছিলেন।  

মশিউরের স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি জানান, তার স্বামী আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে শেয়ারবাজারের সেকেন্ডারি লেভেলে ব্যবসা করতেন। তবে সেখান থেকে খুব একটা আয় হতো না। গত এক সপ্তাহ থেকে ওই ব্যবসার অবস্থা আরও খারাপ হয়। এছাড়া মশিউর পাঁচ–ছয় বছর আগে দক্ষিণখান এলাকার রতন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে সাড়ে ৩ কাটা জমি কেনেন। পরে জানা যায়, জমির দলিল ভুয়া। জালিয়াতি করে রতন ওই জমি মশিউরের কাছে বিক্রি করেছে। এরপর জমির টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। জমির বর্তমান মূল ৩২ লাখ টাকা। রতন ১০ রাখ টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়। কিন্তু তিন–চার বছর ধরে সেই টাকা দিচ্ছি, দেব বলে ঘুরিয়ে আসছে।  

তিনি জানান, মাসখানেক ধরে রতন আর ফোন ধরছে না। এদিকে টাকার ফেরত না পাওয়া ও ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় আর্থিক অনটনে ছিলাম আমরা। দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে সংসারের ব্যয় বহন করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এ কারণে আমার স্বামী হতাশায় ছিলেন। অভাব-অনটনের কারণ সংসারে তাদের রেখে কী করবে? এ জন্য হয়তো তাদের নিয়ে নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক