বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে নূরুজ্জামান নুরুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শাহাজানপুর থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মশিউর রহমান মামুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় এক কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান দলবল নিয়ে থানায় গিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ করে ও পুলিশি কাজে বাধা দেন।
যা সম্পূর্ণ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত দলীয় পদ-পদবি থেকে নূরুজ্জামানকে অব্যাহতি দিয়েছেন।গত শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে ধারালো অস্ত্রসহ শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
খবর পেয়ে মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা থানায় ফিরলে হামলাকারীরা দ্রুত থানা ত্যাগ করেন। এরপর তারা মহাসড়কের মাঝিড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে দুই শতাধিক লোকজন সমবেত হয়ে আবার থানার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের ধাওয়া করে। পরে সেখান থেকে নূরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নূরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের বাড়ি থেকে একটি ম্যাগজিনে ভরা আট রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, তিন বোতল ফেনসিডিল ও এক কেজি গাঁজা এবং নূরুজ্জামানের বাড়ি থেকে একটি ম্যাগজিনে ভরা সাত রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তাদের হামলায় পুলিশের আট সদস্য আহত হন।
এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে বলে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
news24bd.tv/আইএএম