যেন হরর মুভির কোনো দৃশ্য। এমন উদ্ভট পোশাকে সেজেছিল তারা। যাতে চিনতে না পারা যায় সেজন্যে মুখে কালি মেখেছিল। এই গরমে ভারী বুট জুতা, ক্যাপও পরেছিল।
ব্যাগ ঝুলছিল কাঁধে। দুইজন শিস দিচ্ছিল। অঙ্গভঙ্গি ছিল মাইম করার মতো কিছুটা ।ব্যাংকগুলোর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
এসব ফুটেজের বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংক লুটের চেষ্টার ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনাক্ত করে বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে বান্দরবানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যা ব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বিত অভিযান চলছে। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী। রোববার শুরু হওয়া এ অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্যসহ ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথমে বান্দরবানের রুমার ব্যাংকে হানা দেয় অস্ত্রধারীরা। হানা দেওয়ার আগে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। এতে উপজেলা পরিষদ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
রুমায় হামলার পরদিন ৩ এপ্রিল থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়ে ১৭ লাখের বেশি টাকা নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, অস্ত্রধারীরা আসে দুটি চার চাকার মোটরগাড়িতে, যা স্থানীয়ভাবে ‘চাঁদের গাড়ি’ নামে পরিচিত। সংখ্যায় ছিল ৪০ জনের মতো।
news24bd.tv/ডিডি