বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের নারী স্কোয়াড, অস্ত্র চালানোয় পারদর্শী ৫০-এর বেশি

আটক নারী সদস্যরা ।

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের নারী স্কোয়াড, অস্ত্র চালানোয় পারদর্শী ৫০-এর বেশি

এই প্রথম কুকি চিন ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহার করেছে তাদের নারী সদস্যদের। সিসিটিভি ফুটেজে এসব নারী সদস্যদেরই সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে। সবার হাতেই ছিল অস্ত্র।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা জানান, কেএনএফের নারী সদস্যরা সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ঢুকে মুহূর্তের মধ্যে নগদ যে টাকা ছিল, তা নিয়ে দৌড়ে গাড়িতে ওঠেন।

এছাড়া বাইরে তিনটি গাড়ি তারা ব্যাবহার করেন।

আজ মঙ্গলবার( ৯ এপ্রিল) বান্দরবানে যৌথ অভিযানে আটক ৫৪ জনের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৯ জন নারী ও ৩৫ জন পুরুষ রয়েছেন। এই ১৯ নারীর বেশিরভাগেরই বাসা বেথেলপাড়া।

বেথেলপাড়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, এসব বেশিরভাগই অস্ত্র চালানোয় পারদর্শী। খুব ডেসপারেট জীবনযাপন করত এরা।

তারা হলেন, ২ নম্বর রুমা সদরের বেথেলপাড়া এলাকার আজিং বম (২০), লালসিং পার বম (৩০), ভান রিন কিম বম (৩৬), আতং বম (৩০), আলমন বম (২২), লাল মুন এং বম (১৯), লাল নুন জির বম (৩৪), মেলরি বম (২৬), লাল নুন বম (২৪), নেম পেন বম (৩৮), এলিজাবেত বম (৩০), লালত্নাহাকিম বম (৩০), পারঠা জোয়াল বম (১৯), জিং রোল এং বম (৩২), লাল নুন কিম বম (২৫), টিনা বম (১৮), লেরী বম (২৩) ও শিউলি বম (২১)।

গোপন আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেয়া কুকি চিনের নারী সদস্যদের মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন কথিত সৈনিক এজী, থাংনেম পার এবং ভানথারময় ওরফে আমই। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গত ২ এপ্রিল রাতে কুকি চিনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ভল্ট ভাঙার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। তাদের এখনো আটক করা যায়নি। তাদের খুঁজছে পুলিশ।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম বেথেলপাড়া ও এডেনপাড়া এই দুটি গ্রামে এই নারী সদস্যরা অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতো। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই একজন ছাড়া বেশির ভাগ নারী সদস্যই ২১/২২ বছরের। পোশাকে আশাকে তারা আধুনিক। গিটার বাজানো, নাচ, গান সবই পারেন বেশির ভাগ নারী সদস্যরা। প্রায় সবাই খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারি।  

news24bd.tv/ডিডি