বাংলায় উৎসব আকারে ঈদের প্রচলন শুরু হাজী শরীয়তুল্লাহর সময়

সোহেল সানি

বাংলায় উৎসব আকারে ঈদের প্রচলন শুরু হাজী শরীয়তুল্লাহর সময়

সোহেল সানি

৬২৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ঈদ উদযাপন করা হয়। ইতিহাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে, মদিনায় যাওয়ার পর মহানবী (সা.) দেখলেন,  সেখানকার মানুষ বছরে দুটি বড় উৎসব পালন করেন। উৎসব দুটি হচ্ছে একটি নওরোজ আরেকটি মিহিরজান। ধর্ম ও গোত্রের রীতিনীতি অনুযায়ী একটি শরতে এবং আরেকটি বসন্তকালে উদযাপিত হতো।

তখন মহানবী (সা.) মুসলমানদের জন্য বছরে দুটি ধর্মীয় উদযাপনের রীতি প্রবর্তন করেন। একটি ঈদুল ফিতর, আরেকটি ঈদুল আজহা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান মিয়াজী বলেন, হিজরি দ্বিতীয় সনে ঈদের প্রবর্তন হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন।

সে সময়কে ভিত্তি ধরে হিজরি সন গণনা করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য হিজরি সন গণনা শুরু হয় আরও ১৭ বছর পরে। খলিফা হজরত ওমরের (রা.) সময়ে। তিনি বলেন, ‘হিজরি প্রথম বছরের অষ্টম মাস অর্থাৎ শাবান মাসে রোজা বাধ্যতামূলক করার আয়াত নাজিল হয়। পরে নবম মাস। অর্থাৎ রমজানে এক মাস সিয়াম সাধনাকে ফরজ করা হয়। ’ এরপর হিজরি দ্বিতীয় সনে বিধান দেওয়া হয় রমজান মাস- চাঁদের হিসাবে ২৯ দিন বা ৩০ দিনেও শেষ হতে পারে। এটি শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদ উদযাপন করা হবে। ঈদের সামাজিকতা ওই সময় থেকে শুরু হয়। আনাস নামে মহানবীর একজন সাহাবা বা সাথীর বর্ণনায় উপর্যুক্ত তথ্য মিলেছে। ঈদের প্রচলন নিয়ে এর বাইরে আর কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। ঈদ উদযাপন মদিনায় শুরু হলেও পরবর্তীতে পুরো দুনিয়ায় মুসলমানদের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে প্রচলিত হয় ঈদ উদযাপন। কালক্রমে অঞ্চলভেদে এ উৎসবে ভিন্ন ভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয়।

আরবি ঈদ শব্দের মানে খুশি, আনন্দ বা উৎসব। মুসলমানদের জন্য ঈদ উদযাপন ওয়াজিব অর্থাৎ অবশ্য পালনীয়। ঈদ উদযাপনের কিছু নিয়ম ইসলামে নির্দিষ্ট করা আছে, যার মধ্যে প্রধান হচ্ছে ঈদের দিন সকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা, যা সব মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয়। এ ছাড়া ঈদুল ফিতরে ফিতরা দেওয়াও অবশ্য পালনীয় রীতি। ফিতরা ঈদের নামাজের আগে অসহায় লোকদের মধ্যে দিতে হয়। যখন প্রথম ঈদের প্রচলন চালু হয়, তখন এখনকার ঈদের মতো আতিশয্য ছিল না। নবী মুহাম্মদ (সা.) ঈদের দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরে নামাজ পড়তে যেতেন। ঈদের নামাজের পর মিষ্টিদ্রব্য খাওয়া এবং আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশী বন্ধুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ ছিল। বাংলা বা বঙ্গে কখন ঈদ শুরু হয়?
ইতিহাসবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘দেড় শ বছর আগেও এ অঞ্চলে সাধারণের মধ্যে ঈদ তেমন বড় কোনো উৎসব ছিল না। ’ তার মতে, ‘ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তুল্লাহর সময় বঙ্গে উৎসব করে ঈদ উদযাপনের চল শুরু হয়। ’

তিনি বলেন, ‘এর আগে এখানে মুসলমান ছিলেন অনেক। কিন্তু তাদের রীতিনীতির মধ্যে লোকায়ত ধর্মের মিল ছিল বেশি। যে কারণে ওই সময়ে ঈদ উদযাপনের তথ্য তেমন পাওয়া যায় না। মুঘলরা ঢাকায় আসে ১৬১০ সালে। তখন তাদের পাঠানো নায়েব-নাজিমরা ঈদ উদযাপন করতেন। ’

অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘ঈদের চাঁদ উঠলে তারা আনন্দ-উৎসব শুরু করতেন। কামান দাগা হতো। ঈদের দিন একসঙ্গে নামাজ পড়তেন। নামাজ পড়ে ফেরার পথে হাতি বা ঘোড়ার পিঠ থেকে সাধারণ মানুষের দিকে পয়সা ছুড়ে দিতেন। ঈদ তাদের নিজেদের মধ্যেই উদযাপিত হতো। সাধারণ মানুষের সেটার সঙ্গে সংযোগ ছিল না। ’

তিনি বলেন, ‘মুঘলদের তৈরি ঈদের একটা প্রতীক এখনো ঢাকায় আছে। সেটি হচ্ছে ধানমন্ডি ঈদগাহ।

অধ্যাপক মামুন যোগ করেন, ‘এর আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে রোজা বা ঈদ উদযাপনের তেমন চল ছিল না। সেই সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো ছিল না। ’

উনিশ শতকের গোড়ার দিকে এ অঞ্চলে মুসলমানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে সময় ঈদ উদযাপন বাড়তে থাকে বলে উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন ইতিহাসবিদের লেখায়। একসময় দিল্লির মুঘলদের অনুকরণে ঢাকায় ঈদের মিছিল হতো।

ইতিহাসবিদদের মতে, বর্তমানে ঈদ যেমন ব্যাপক উৎসবের আকার পেয়েছে, এর শুরুটা হয় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র হওয়ার পর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যা আস্তে আস্তে বিস্তৃত হতে থাকে। এর আগে ঈদ উদযাপনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা। আনুষ্ঠানিকতার প্রায় পুরোটাই ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক। যে কারণে ঐতিহাসিক বর্ণনায় ঢাকার ঈদ সম্পর্কেই জানা যায়।

১৮৮৫ সালে ঐতিহাসিক জেমস ওয়াইজের লেখা উল্লেখ করে অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘ওই সময় গ্রামাঞ্চলে ঈদের উদযাপন একেবারে কম ছিল। এমনকি অনেক জায়গায় ঈদের নামাজ কীভাবে পড়তে হয়, তা-ও অনেকে সঠিকভাবে জানতেন না। মসজিদের সংখ্যাও সে সময়ে কম ছিল। এখন ইসলাম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান বেড়েছে। মুসলমানের সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে ঈদ উদযাপনের পরিধিও বেড়েছে। ’

কয়েক শ বছর আগেও কি এই জনপদে এভাবে পালিত হতো না ঈদের আনন্দ। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের লেখা থেকে জানা যায়, ইংরেজ শাসনামলে এ অঞ্চলে সবচেয়ে ধুমধামে উদযাপিত হতো ক্রিসমাস বা বড়দিন। এই উৎসবের জন্য ছুটি বরাদ্দও ছিল বেশি। কলকাতার বাইরে শহর, মফস্বল বা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে এ উৎসবের কোনো যোগসূত্র ছিল না। এর পরপরই জমকালোভাবে উদযাপিত হতো দুর্গাপূজা। ঈদের থেকে পূজায় সরকারি ছুটি ছিল বেশি। তখন মুসলমান চাকরিজীবীরা ঈদের ছুটি বাড়ানোর আবেদন করলেও এতে কাজ হয়নি। তা ছাড়া সেই সময় ঈদকে উৎসবে পরিণত করার মতো সামর্থ্যও গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মুসলমানের ছিল না। মুসলমানদের প্রধান উৎসব হিসেবে ঈদ উদযাপন না হওয়ার আরেকটি কারণ বিশুদ্ধ ইসলাম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা। যদিও সাধারণ মুসলমানদের তুলনায় বহিরাগত মুসলমানরা বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করতেন।

ভারতের উত্তরাঞ্চল থেকে আগত মুঘলরা বাংলার সাধারণ মানুষের তুলনায় ইসলাম সম্পর্কে জানতেন বেশি। কিন্তু বিশুদ্ধ ধর্ম পালনে তাঁরা উৎসাহী ছিলেন না। ধর্মে ঈদ মানে খুশি। সুতরাং রমজান থেকেই মোটামুটি তারা সচেষ্ট থাকতেন যতটা পারা যায় আনন্দ নিংড়ে নিতে। সুরা পানেও এ সময় তাদের অনাগ্রহ ছিল না। ’

ঢাকায় ঈদ উদযাপনের সবচেয়ে পুরনো তথ্য পাওয়া যায় আজাদ হোসেন বিলগ্রামীর ‘নওবাহারই মুর্শিদ খান’ গ্রন্থে। এ বই অবলম্বনে ঐতিহাসিক আবদুর রহিম লিখেছেন, মুসলমানরা সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছেদে শোভাযাত্রা করে ঈদগাহে যেতেন। অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিরা মুক্তমনে টাকা-পয়সা ও উপহারসামগ্রী পথে পথে ছড়িয়ে দিতেন।

যদুনাথ সরকারের একটি বিবরণ উল্লেখ করেছেন মুনতাসীর মামুন : ‘দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলি খাঁর সময় (১৭২৯) জয় করা হয়েছিল ত্রিপুরা। ২৯ রমজান নবাব এ খবর পেয়ে এত উল্লসিত হলেন যে, তিনি যেন দুটি ঈদ পালন করছেন। ঈদের দিন এ কারণে তিনি মীর সৈয়দ আলী ও মীর মোহাম্মদ জামানকে আদেশ দিলেন গরিবদের মধ্যে ১ হাজার টাকা বিতরণ করতে। ঢাকা কিল্লা থেকে এক ক্রোশ দূরে ঈদগাহ যাওয়ার পথে রাস্তায় ছড়ানো হয়েছিল মুদ্রা। ’

যদুনাথ সরকারের এই বিবরণের আলোকে মুনতাসীর মামুনের সিদ্ধান্ত, ‘ঈদের দিন যে হইচইটুকু হতো তা বহিরাগত উচ্চপদধারী বা ধনাঢ্য মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এসবের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ছিল যোজনব্যাপী ব্যবধান। ’

এরপর এই শতকের আগের ঈদের বর্ণনা তেমন আর পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন মুনতাসীর মামুন। তবে তিনি উল্লেখ করেন, মুঘলরা ঈদের গুরুত্ব দিতেন। ঢাকা, সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শাহি ঈদগাহের ধ্বংসাবশেষ দেখে তা বোঝা যায়। এরকম একটি ঈদগাহ আছে ধানমন্ডির আবাসিক এলাকায়।

আ ম ম শরফুদ্দীন অনূদিত মুনশী রহমান আলী তায়েশের ‘তাওয়ারিখে ঢাকা’ গ্রন্থের বরাত দিয়ে ‘ঢাকা সমগ্র ১’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, বাংলার সুবাদার শাহ সুজার আমলে তাঁর আমাত্য মীর আবুল কাসেম ১৬৪০ সালে ওই ঈদগাহটি নির্মাণ করেছিলেন। সুবাদার, নাজিম ও অন্য মুঘল কর্মকর্তারা সেখানে নামাজ পড়তেন। ইংরেজ আমলে ঈদগাহটি ছিল জরাজীর্ণ ও জঙ্গলাকীর্ণ। উনিশ শতকে খুব সম্ভব শেষের দিকে শহরের মুসলমানরা ওই ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়তেন। আর সেখানে একটি মেলার আয়োজন করা হতো। মুঘল আমলে ঈদের দিন ঈদগাহে যেতেন মুঘলরাই, সাধারণ মানুষের স্থান সেখানে ছিল কি না সন্দেহ। তবে তায়েশ উল্লিখিত মেলার বর্ণনা থেকে অনুমান করে নিতে পারি, উনিশ শতকের শেষে এবং এ শতকের গোড়ায় ঈদের দিন আনুষঙ্গিক আনন্দ হিসেবে সাধারণ মানুষ যোগ করেছিল একটি লোকায়ত উপাদান-মেলা। ’

‘ঢাকা সমগ্র ১’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, আশরাফ-উজ-জামান তাঁর আত্মজীবনীমূলক এক নিবন্ধে ঈদ মেলার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ঈদের মেলা হ’ত চকবাজারে এবং রমনা ময়দানে। বাঁশের তৈরি খঞ্চা ডালা আসত নানা রকমের। কাঠের খেলনা, ময়দা এবং ছানার খাবারের দোকান বসতো সুন্দর করে সাজিয়ে। কাবলীর নাচ হ’ত বিকেল বেলা। ’ তা সম্ভবত ত্রিশ-চল্লিশের দশক।

এ সময়ে ঈদ উদযাপন সম্পর্কে মুনতাসীর মামুনের পর্যবেক্ষণ, ‘ঈদ সম্পর্কে যে স্বল্প বিবরণ পাওয়া যায়, তা থেকে ধরে নেওয়া যায়, রমজান মাস থেকেই শুরু হতো ঈদের প্রস্তুতি। এ উৎসাহের শুরু হতো রমজানের ঈদের চাঁদ দেখা থেকে। মনে হয়, এটি মুঘল প্রভাবের কারণ এবং তা সীমাবদ্ধ ছিল শহরে বিশেষ করে ঢাকার এবং মফস্বল বা গ্রামের সম্পন্ন বা মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে। ১৯৪৭-এর আগে, বাংলাদেশে একমাত্র ঢাকায়ই ঈদ যা একটু ধুমধামের সঙ্গে পালিত হতো। ঢাকা ছিল পূর্ববঙ্গের প্রধান ও মুঘল শহর। তাই মুঘল ঈদের প্রভাব ছিল বেশি। তা ছাড়া এখানে থাকতেন নওয়াব ও অন্যান্য মুসলমান ধনাঢ্য ও শরিফ ব্যক্তিরা। ফলে ঈদ পেত পৃষ্ঠপোষকতা। ’

‘ঢাকা সমগ্র ১’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, একসময় ঢাকায় ঈদের মিছিল হতো। বাংলাদেশের আর কোথাও এ ধরনের মিছিল বের হতো না। এ মিছিল কবে শুরু হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে খুব সম্ভব অষ্টাদশ শতকে নায়েব-নাজিমদের নিমতলী প্রাসাদে এসে বসবাস শুরু করার সময় থেকে। আর খুব সম্ভব উনিশ শতকের মাঝামাঝি ঢাকার নায়েব-নাজিমদের বংশ লুপ্ত হয়ে গেলে এই ঈদ মিছিলের সমাপ্তি ঘটে। মুনতাসীর মামুনের লেখা থেকে জানা যায়, এ শতকের বিশ-তিরিশের দশকে ঢাকায় রমজানের শুরুতেই ঘরবাড়ি, মসজিদ সব সাফ-সুতরো করে রাখা হতো। রমজানের চাঁদ দেখার জন্য বিকাল থেকেই বড়কাটরা, আহসান মঞ্জিল,  হোসনি দালানের ছাদে ভিড় জমে যেত।

আবু যোহা নূর আহমদ তাঁর ‘উনিশ শতকের ঢাকার সমাজজীবন’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘চাঁদ দেখা মাত্রই চারদিক হইতে মোবারকবাদ, পরস্পর সালাম বিনিময় এবং গোলাবাজি ও তোপের আওয়াজ করা হতো। গত ৪০০ বছরে ক্রমে ঈদের জৌলুস বেড়েছে। মুঘল ও ব্রিটিশ আমলে এ অঞ্চলে ঈদ তেমন কোনো ব্যাপার ছিল না। পাকিস্তান আমলে তা একটি অবয়ব পায়। ঈদকে ঘিরে এখন একটি অর্থনীতি তৈরি হয়েছে। ফ্যাশন তৈরি হয়েছে। সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের পাশাপাশি দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও ঈদ নিয়ে কয়েক দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। রাষ্ট্রীয়ভাবেও থাকছে ছুটি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন জাতিকে। ঈদ উৎসব আজ ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানদের বছরের শ্রেষ্ঠতম উৎসব এবং আনন্দ অনুভূতি প্রকাশের শ্রেষ্ঠতম অবলম্বন।

লেখক : সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

news24bd.tv/আইএএম