সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রাজধানীসহ ২৭০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরীফে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রাজধানীসহ ২৭০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের ২৭০টিরও বেশি গ্রামে আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রামে শতাধিক ও চাঁদপুরের ৪০টি গ্রাম রয়েছে। ঈদের জামাত হয়েছে রাজধানীতেও।       

চট্টগ্রামে শতাধিক গ্রামে ঈদ

প্রতিবারের মতো এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামের মানুষ।

সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফ ও চন্দনাইশের জাঁহাগিরি শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করেন।  

আজ সকাল ১০টায় মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে ঈদের জামাত হয়। এতে ইমামতি করেন সৈয়দ মাওলানা ড. মাকসুদুর রহমান শাহ জাঁহাগিরি।

মির্জাখীল দরবার শরিফের তথ্য মতে, চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিনার পাড়া, ফকির পাড়া, সর্বল কাজী বাড়ি, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, ধোপাছড়ি, দোহাজারী, জামিজুরি, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ার পাড়া, শ্রীমাই, রূপকানিয়া, জলদী, গুনাগরি, কালিপুর, গন্ডামারার, মিরিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, চরনদ্বীপ, খরনদ্বীপ, বড় হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, মনেয়াবাদসহ শতাধিক গ্রামের তাদের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন।

 

এছাড়া বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালনের কারণ হিসেবে মির্জাখীলের ব্যাখ্যা হলো, তারা হানাফি মাজহাবের অনুসারী হিসেবে নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান, পূর্বের দেশসমূহে চন্দ্র দর্শন বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশের হিসেবে চাঁদের অবস্থান এবং মক্কা-মদিনায় তথা আরব বিশ্বে চাঁদ দেখার খবর বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে জেনে একই দিন রোজা এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।  

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ 

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৫ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে জেলার প্রায় ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। বুধবার সকালে সাদ্রা ঈদগাহ মাঠ ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদরাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।  

এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। ’

রাজধানীতে ঈদের জামাত 

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে মিল রেখে রাজধানীর পান্থপথে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) পান্থপথের একটি কনভেনশন সেন্টারে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টায় কনভেনশন সেন্টারে মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ভাগাভাগি করে নেন ঈদ আনন্দ।

কয়েকজন মুসল্লি জানান, সারা পৃথিবীতে ঈদ হচ্ছে, সে হিসেবে আমরাও পালন করছি। এর আগেও ঈদ পালন করেছি।

লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামে ঈদ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেন লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ। মাওলানা ইসহাকের (রা.) অনুসারী হিসেবে ৪৬ বছর ধরে মক্কা ও মদিনার সঙ্গে সংগতি রেখে এ নিয়ম পালন করে আসছেন তারা।

জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১০টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

আজ সকাল ৮টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এছাড়া এসব গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি পৃথক পৃথক ঈদ গাঁ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

দিনাজপুরে ৫০ স্থানে ঈদ 

দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার অন্তত ৫০ জায়গায় আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বুধবার (১০ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টায় শহরের চারুবাবুর মোড়ের পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে নারী পুরুষসহ দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।  

এই ঈদের নামাজের ইমামতি করেন জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর ফ্যামিলি কেয়ার মহিলা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক।

ঈদ উদযাপন কমিটির সভাপতি মোকবুল হোসেন জানান, এবার জেলার ১৩ উপজেলায় অন্তত ৫০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি জামাতে প্রায় ২ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

এবার দিনাজপুর সদরের নিউটাউন, ফুলতলা, কাচারীর পিছনে ইসলামবাগ এলাকায় ঈদের জামাত হয়।

একইসঙ্গে চিরিরবন্দর উপজলার রাবার ড্যাম এলাকা, কাহারোল উপজেলা জয়নন্দ গ্রাম, ১৩ মাইল এলাকা, বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদ, জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদ এবং বিরল উপজেলার বালান্দোর ও ভাড়াডাঙ্গী এবং বোচাগঞ্জ উপজেলার তেতরা গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

দিনাজপুরে ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিবছর তা বাড়ছে।

ঝিনাইদহের কয়েকটি গ্রামে ঈদ উদযাপন 

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের কয়েকটি গ্রামের মানুষ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ কয়েকটি এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক মুসল্লি।

ঈদ জামাতের আয়োজকরা জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা কয়েক বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে থাকেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসেন ঈদের নামাজ পড়তে। এ ছাড়া হরিণাকুন্ডুর ভালকী বাজার ও চরপাড়া পুড়াহাটি এলাকায় ইদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে ঈদ জামাত

শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরীফে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে রোজা কবুলের ফরিয়াদ ও বিশ্ব উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করেছেন দরবার শরীফের ভক্ত-অনুরাগী মুসল্লিরা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় দরবার শরীফের ঈদগাহ মাঠে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত জামাত দুইটিতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভক্ত ও সুরেশ্বর দরবার শরীফের আশেপাশের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মুসল্লি অংশ নেন।  

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে প্রায় ১০০ বছরের ঐতিহ্য হিসেবে পালিত পবিত্র ঈদুল ফিতরের পৃথক জামাত দু’টিতে ইমামতি করেছেন শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নূরী আল সুরেশ্বরী ও মাওলানা মো. জুলহাস উদ্দিন।

মাদারীপুরের ২৫ গ্রামে ঈদ 

আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন মাদারীপুরের ২৫ গ্রামের মানুষ। জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিনের তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ পড়ান তাল্লুক গ্রামের মৌলভী বাড়ির মসজিদের ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান।  

জানা যায়, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ বছর আগ থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।  এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি, বাহেরচর, কেরানীরবাট, রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার ২৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।

পিরোজপুরে ১০ গ্রামে ঈদ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর ও কাউখালী উপজেলার ১০ গ্রামের আট শতাধিক পরিবার আজ বুধবার ঈদুল-ফিতর উদযাপন করছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে এসব গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়ে আসছে।

জানা যায়, মঠাবাড়িয়া উপজেলার পূর্ব সাপলেজা, ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, খেতাচিড়া, বাদুরতলী ও চড়কগাছিয়া গ্রামের ৭ শতাধিক পরিবার, কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের ৪০টি পরিবার ও নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৭০টি পরিবার ঈদ উদযাপন করছে।

সকাল ১০টায় মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের খোন্দকার বাড়িতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল সাড়ে আটটায় উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের হাজী ওয়াহেদ আলী হাওলাদার বাড়িতে ঈদের আরেকটি জামাত হয়। তাছাড়া কাউখালীর শিয়ালকাঠীর মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের নাড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের মরহুম হজরত মাওলানা জান শরিফ ওরফে শাহে আহম্মদ আলীর অনুসারীরা মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের পূর্ব সাপলেজা, ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, খেতাছিড়া, বাদুরতলী ও চড়কগাছিয়া গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছে।

ঈদ উদযাপন টাঙ্গাইলের ৪০ পরিবারের 

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার শশীনাড়া গ্রামের ৪০টি পরিবার ঈদ উদযাপন করেছে আজ বুধবার। বুধবার সকাল ৮টায় স্থানীয় মসজিদের মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নের শশীনাড়া গ্রামের কিছু মুসুল্লি ২০১২ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছে। বুধবার সকাল ৮টায় স্থানীয় মসজিদের মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন ওই গ্রামের প্রায় ৪০টি পরিবারসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মুসল্লিরা। ঈদের নামাজ পড়ান হাফেজ এরশাদ হোসেন।  

ফরিদপুরে ১৩ গ্রাম ঈদ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রায় ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপন হচ্ছে আজ বুধবার (১০ এপ্রিল)। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই একদিন আগেই ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক