ঈদের দিনেই গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলেসহ কয়েকজন নাতি-নাতনিও প্রাণ হারিয়েছে। হানিয়ে কাতারে বাস করেন। আল-জাজিরাকে তিনি তার ছেলে ও নাতি-নাতনিদের এই মৃত্যুর খবর দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঈদের দিনও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নিহত হয়েছে ১২৫ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও ৫৬ জন।হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও তিন নাতিও রয়েছে।
এবারেও হানিয়ের ছেলেদের ওপর হামলার খবর নিশ্চিত করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তিন ভাই হামাসের সশস্ত্র শাখার অভিযানে তৎপর ছিল।
হানিয়ের তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের কাছে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় বোমা হামলায় নিহত হন। হামলায় একইসঙ্গে নিহত হয় হানিয়ের তিন নাতি-নাতনি। আর একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বিমান হামলায় হানিয়ের তিন ছেলে ছাড়া অন্যান্য আর কেউ হতাহতের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
তাঁর স্বজনদের মৃত্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না বলে জানিয়েছেন ইসমাইল হানিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট এবং আমরা সেগুলোতে কোনো ছাড় দেব না। শত্রুরা যদি মনে করে, আলোচনা যখন গতিশীল হয়েছে এবং হামাস যখন তাদের অবস্থান জানাবে, এমন সময়ে আমার ছেলেদের লক্ষ্যবস্তু বানালে হামাস অবস্থান পরিবর্তন করবে, তাহলে তারা কল্পনার জগতে রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের রক্ত আমার ছেলেদের রক্তের চেয়ে আমার কাছে কম কিছু নয়। ’
গাজা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বেসামরিক গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ওই গাড়িতে ছিলেন ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও তিন নাতি। তারা সবাই নিহত হন।
এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৮২ জনে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই প্রায় ১৪ হাজার ৫০০। আর নারী রয়েছে ৯ হাজার ৫০০।
এছাড়াও বিগত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আহত হয়েছে আরও ৭৬ হাজার ৪৯ ফিলিস্তিনি।
news24bd.tv/DHL