জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছেলে, আয়োজন ছাড়াই ঈদ কাটাচ্ছে পরিবার

এক মাস ধরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি অবস্থায় আছেন জয় মাহমুদ।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছেলে, আয়োজন ছাড়াই ঈদ কাটাচ্ছে পরিবার

অনলাইন ডেস্ক

এক মাস ধরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি অবস্থায় আছেন জয় মাহমুদ। ছেলেকে কাছে না পেয়ে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে তার পরিবারের জন্য। ঈদের দিন রান্না করেননি মা আরিফা বেগম, অঝরে কেঁদেছেন নব্বই বছরের বৃদ্ধা দাদি রওশন আরা। নিশ্চুপ ছিলেন বাবা জিয়া উদ্দিনও।

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া জয় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের অর্ডিনারি সি-ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। অন্যান্য নাবিকদের মতো জয়ও দস্যুদের হাতে অপহৃত হয়েছেন।
জয়ের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সালাইনগর গ্রামে। আশেপাশের বাড়িতে ঈদের আনন্দ-উৎসব হলেও জয়ের বাড়িতে ঈদের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না।

জয়ের দাদি রওশন আরা বেগম বলেন, জয় প্রতিবারই বাড়িতে ঈদ করতো। কোনো ঈদে বাড়িতে আসতে  না পারলে মোবাইলে সবার সাথে কথা বলে নিতো, আনন্দ করতো সবার সাথে। কিন্তু এবার আর আদরের নাতি জয়ের সাথে ঈদ করতে পারলাম না। আমি অতিদ্রুত আমার নাতিকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেতে চাই।

ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে সারাদিন কোনো কথা বলেননি জয়ের বাবা জিয়া উদ্দিন। তিনি বলেন, বাড়ির বড় ছেলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। ভাবতেই ভয় করে। তিনদিন আগে জয় জিম্মি অবস্থাতেই ফোন করেছিল। কিন্তু বিস্তারিত কথা বলতে পারিনি। জাহাজ কোম্পানির লোকজনও আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন না। আমার ছেলেকে দ্রুত ফেরত চাই আমি।

ছেলে জয়ের শোকে সকাল থেকেই কান্নায় বুক ভাসাচ্ছিলেন মা আরিফ বেগম। তিনি বলেন, বুকের ধন জিম্মি থাকায় ঈদের দিন রান্নাও করতে পারিনি। আমার ছেলেকে দ্রুত উদ্ধার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্জি জানাচ্ছি।

জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ আলী বলেন, জয় মাহমুদ তার ফোনে কল করেছিলেন তিন-চারদিন আগে। শুধু বলেছেন অপহৃত ২২ জনই সুস্থ ও জীবিত আছেন।

বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহায়মেনা শারমিন জানান, উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে জিম্মি জয় মাহমুদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কাজ করছে।

news24bd.tv/ab

এই রকম আরও টপিক