দূতাবাসহীন সাইপ্রাসে ভবন থেকে লাফিয়ে বাংলাদেশির মৃত্যু, কীভাবে আসবে লাশ?

মোহাম্মদ আনিসের পাসপোর্ট

দূতাবাসহীন সাইপ্রাসে ভবন থেকে লাফিয়ে বাংলাদেশির মৃত্যু, কীভাবে আসবে লাশ?

অনলাইন ডেস্ক

সাইপ্রাসে পুলিশি অভিযান চলাকালে পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সাইপ্রাস স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় অনিয়মিত অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালালে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বাসায় থাকা তিন বাংলাদেশি ৫ তলা থেকে বিল্ডিংয়ের পাইপ বেয়ে নিচে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথমজন সফল হলেও পরের দুইজন পাইপ থেকে ছিঁটকে নিচে পড়ে যান।

একজন সাথে সাথেই মারা যান, অন্যজন আহত হন। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আনিস।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার বিষ্ণুরামপুর গ্রামের আবদুল আওয়াল মিয়ার সন্তান। আবদুল আওয়াল মিয়ার দুই সন্তানের মধ্যে মোহাম্মদ আনিস বড়।

সাইপ্রাসে তিনি একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।

মোহাম্মদ আনিসের একই গ্রামের আরেক সাইপ্রাস প্রবাসী হাসিবুল হাসান জানান, ২০২২ সালে নর্থ সাইপ্রাস আসেন আনিস। সেখানে আসার পর কোনো কাজ না থাকায় আনিস অবৈধভাবে সাইপ্রাসে ঢুকে পড়েন। সাইপ্রাস আসার পর মোটামুটি ভালোই চলছিল দিনকাল। কিন্তু রিফিউজি আবেদন করার পর বারবার তা রিজেক্ট করে দেয় সরকার। এরপর অবৈধ হয়ে যায় আনিস। এর আগেও কয়েকবার পুলিশি তল্লাশিতে পড়লেও বেঁচে যায় সে। কিন্তু এবার শেষ রক্ষা হয়নি।

সাইপ্রাসে বাংলাদেশি দূতাবাস না থাকায় কোনো বাংলাদেশি মারা গেলে তার মরদেহ দেশে পাঠাতে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। সাইপ্রাসে থাকা বাংলাদেশিরা সাহায্য সহযোগিতা করে দেশে মরদেহ পাঠানোর ব্যবস্থা করলেও অনেক সময় আর্থিক সংকটের কারণে তা সম্ভব হয় না। সাইপ্রাস থেকে একটা মরদেহ দেশে পাঠাতে যে পরিমাণ অর্থ লাগে তা জোগাড় করতে অনেক সময় লেগে যায়। মৃত ব্যক্তির পরিবার থেকে টাকা দিতে না পারলে মরদেহ দেশে পাঠানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক