আগুন নেভাতে এক্সপেসওয়েতে উঠতে ফায়ার সার্ভিসকে দিতে হলো টোল

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। ছবি: সংগৃহীত

আগুন নেভাতে এক্সপেসওয়েতে উঠতে ফায়ার সার্ভিসকে দিতে হলো টোল

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। সেই গাড়ির আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে দিতে হয়েছে টোল। সময়মতো ঘটনাস্থলে না পৌঁছানোয় আগুনে পুড়ে যায় প্রাইভেটকারটি।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। মাত্র ২৫ মিনিটেই পুড়ে যায় গাড়িটি।

জানা গেছে, আগুন নেভাতে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা পাঁচ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিট।

এর মধ্যে টোল দিতেই সময় লেগেছে অন্তত ১০ মিনিট।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, টোল ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুততম সময়ে ফায়ার ফাইটারদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোলমুক্ত রাখা উচিত। টোল কোনোভাবেই নেওয়া উচিত নয়।

তিনি বলেন, ইমার্জেন্সি মানে ইমার্জেন্সি। কেউ বাধা দিলে ন্যূনতম এক বছরের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। উড়ালসড়কের শেষ অংশে বা মাঝামাঝি ফায়ার স্টেশনের জন্য ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। বিভিন্ন দেশে এ ব্যবস্থা রয়েছে।

নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ বলেন, বড় বড় ফ্লাইওভার করলে হবে না। গাড়ির পাশাপাশি ডিজিটাল করতে হবে টোল কার্যক্রমকেও। তা না হলে এক্সপ্রেস ওয়ের গতি শেষে টোল প্লাজায় হারাবে। তিনি বলেন, সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের অবাধ সেবা নিশ্চিতে কার্যক্রম ডিজিটাল করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ফায়ার সার্ভিসসহ যথাসময়ে জরুরি সেবা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের আরও যুগোপযোগী উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

প্রসঙ্গত, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু সরকারি গাড়ির বিনামূল্যে পাস থাকলেও নেই জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের পাস। তাই উড়ালসড়ক কিংবা সেতুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোলমুক্ত রাখার দাবি উঠেছে।

news24bd.tv/DHL