সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সাজ্জাদ হোসেন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে সাভার পৌরসভার বক্তারপুর কোটবাড়ি-আরাপাড়া বালির মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর জখম সাজ্জাদকে উদ্ধার করে বন্ধু ও স্থানীয় লোকজন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাজ্জাদ হোসেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার ছাতা মসজিদ এলাকার শাহীন ওরফে নুরা মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, নিহত সাজ্জাদ রাজাশন এলাকার আনোয়ার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে (২১) ছয় বছর আগে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে সিদরাতুল মুনতাহা সাফা (৫) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহতের শ্বশুরবাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার অলিপুর গ্রামে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা ও সাজ্জাদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বাপ্পি মিয়া বলেন, 'শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে সাভার পৌরসভার বক্তারপুর কোটবাড়ি-আরাপাড়া বালির মাঠ এলাকায় আমাদের পূর্ব পরিচিত জুয়েল, মাসুম, আলামিন, সাজ্জাদসহ কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিল। ওই সময় তাদের পাশ দিয়ে রিক্সাযোগে যাওয়ার পথে জালাল বাবুর্চির ছেলে আলামিন (২৫) ও রাব্বি ওরফে মুরগি রাব্বি (২২) তাদের দেখে জিজ্ঞেস করে তোরা কারা? এ কথা বলার পর রিকশায় থাকা আলামিন ও রাব্বিকে নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে চর-থাপ্পড় মারা হয়। এ সময় ওই দুজনের কাছে একটি ছুরি পাওয়া গেলে সাজ্জাদ ও তার সঙ্গীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আলামিন ও রাব্বি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর দেড় ঘন্টা পর ওই এলাকার সারোয়ার ভান্ডারীর ছেলে স্বপনের (৩৫) নেতৃত্বে পুনরায় আলামিন ও রাব্বিসহ আরও ৬ থেকে ৭ জন ঘটনাস্থলে আসে। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাজ্জাদকে ছুরিকাঘাত করে তারা সবাই পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাজ্জাদকে দ্রুত উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। নিহতের খালু নজরুল ইসলাম বলেন, সাজ্জাদ কাঠের দোকানে রংমিস্ত্রির কাজ করতো। তার বন্ধুদের মাধ্যমে খবর পাই, বক্তারপুর কোটবাড়ি-আরাপাড়া বালির মাঠে কে বা কারা তাকে ছুরি মেরেছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। এ ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ' এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামাল বলেন, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।
news24bd.tv/SC
