ত্রিপাক্ষিক চুক্তির পথে যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন-জাপান

সংগৃহীত ছবি

ত্রিপাক্ষিক চুক্তির পথে যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন-জাপান

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন ও জাপানের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে বদলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি চীন যে এই চুক্তির লক্ষ্যবস্তু নয় সেটি আবারও নিশ্চিত করেন। খবর রয়টার্সের।

ফিলিপাইনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সাথে ত্রিদেশীয় সামিটে অংশ নিতে এই মুহূর্তে ওয়াশিংটনে আছেন মার্কোস।

সেখানে এক সম্মেলনে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

আসিয়ানকে উদ্দেশ্য করে মার্কোস বলেন, একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি দক্ষিণ চীন সাগরের আশেপাশের অঞ্চলের পরিস্থিতি বদলে দেবে।

সামিট চলাকালে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী আচরণের কড়া সমালোচনা করেন তিন দেশের প্রধান। বিশ্লেষকদের মতে, এই সাগর দিয়ে বছরে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বাণিজ্যে ভাগ বসাতেই চীন বেশ কয়েকটি দেশের সাথে বিরোধ বাঁধিয়ে রেখেছে।

সামিটটি কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয় বরং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফিলিপাইনের ময়াঝে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্দেশ্যে এটি আয়োজিত হয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন মার্কোস।  
সম্পূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন, যদিও ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক আদালত চীনের দাবির কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি।

গত মাসে বেশ কয়েকবার চীনা এবং ফিলিপিনো জাহাজ এই সাগরে মুখোমুখি হয়েছে। এ সময় জাহাজগুলোর মাঝে জলকামান ও উত্তপ্ত বাখ্যালাপ বিনিময় হয়েছে।

বৃহস্পতিবার চীনে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এবং জাপান দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে ডেকে নেতিবাচক মন্তব্যের অভিযোগ করেছে চীন।

চীনের সাথে দ্বন্দ্বের মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিচ্ছে ফিলিপাইন। পাশাপাশি, জাপানের সাথেও সৈন্য বিনিময় চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে দেশটির।

ফিলিপাইনের সামরিক ঘাটিগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কংগ্রেসের কাছে ১২৮ মিলিয়ন ডলার চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সামিটে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো থেকে আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশা করছেন মার্কোস।

news24bd.tv/ab