আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-কে সংগীতের মূর্ছনায় রমনার বটমূলে চিরায়িত আয়োজনে বরণ করে নিয়েছে ছায়ানট। উৎসবপ্রিয় বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নতুন বছর পেয়েছে ভিন্ন রঙ। গান, বাজনা, আলাপে প্রত্যাশা করা হয়েছে সুন্দর আগামীর।
সমবেত কণ্ঠে এ যেন মানবের জয়গান।রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে মুক্ত বাতাসে আবারও বর্ষবরণে গেয়ে ওঠে প্রাণ। বিগত বছরের অমঙ্গল দূর করে শুভ চিন্তার উদয় হোক এ প্রত্যাশা সবার।
সকালে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে রমনার বটমূলে সূচনা হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩১ এর অনুষ্ঠান।
রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারা দেশে বিস্তারিত হতে প্রেরণা জুগিয়েছে।
সেই থেকে (১৯৬৭) পয়লা বৈশাখ উদযাপনের একটা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণের রেওয়াজ। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈরী পরিবেশের কারণে অনুষ্ঠান হয়নি। ২০০১ সালে এ গানের অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা ভয়াবহ বোমা হামলা করে। এতেও অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি।
ছায়ানটের পাশাপাশি বর্ষবরণে রাজধানীতে থাকছে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রকমারি কারুপণ্যের সম্ভার নিয়ে বৈশাখী মেলা। এছাড়া সারাদেশ মঙ্গল শোভাযাত্রা নানা আয়োজনে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে নতুন বছরকে।
news24bd.tv/আইএএম