গরমকালে সর্দি-কাশি কেন হয় 

গ্রীষ্মকালে সর্দি-কাশিতে ভোগা যেন এখন স্বাভাবিক ঘটনা।

গরমকালে সর্দি-কাশি কেন হয় 

অনলাইন ডেস্ক

সাধারণত গরম থেকে ঠান্ডা কিংবা ঠান্ডা থেক গরম মৌসুমে প্রবেশের সময় এই ধরনের মৌসুমি ফ্লুতে মানুষ আক্রান্ত হয়। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে ব্যতিক্রম। যেমন আজকাল অতিরিক্ত গরম থেকে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বাড়ছে। সর্দি-কাশি হচ্ছে।

অনেকেই বলেন ‘হিট এল্যার্জিক ডিজঅর্ডার’
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ সর্দিজ্বর ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। একসময় ধারণা করা হতো একটি বিশেষ ক্যাটাগরির ভাইরাসের মাধ্যমেই শুধু সর্দি হয়। তবে আশির দশকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে মোট সাতটি ক্যাটাগরির ভাইরাসের কারণে সর্দিজ্বর হয়ে থাকে। ঠান্ডার মৌসুমে বা শীতের সময় এই ভাইরাসগুলো দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার মতো পরিবেশ পায় বলে শীতের সময় সর্দি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায় এবং শীতের সময় মানুষের বেশি সর্দি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অন্যদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়া ফ্লু ও সর্দিজ্বরের উপসর্গ একই হওয়ায় এই দুই রোগের মধ্যে পার্থক্য করা অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই পরীক্ষা ছাড়া এ ক্ষেত্রে বোঝার উপায় নেই। তবে বছরব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ নজরদারি করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

আশির দশকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে মোট সাতটি ক্যাটাগরির ভাইরাসের কারণে সর্দিজ্বর হয়ে থাকে। ঠান্ডার মৌসুমে বা শীতের সময় এই ভাইরাসগুলো দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার মতো পরিবেশ পায় বলে শীতের সময় সর্দি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায় এবং শীতের সময় মানুষের বেশি সর্দি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অন্যদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়া ফ্লু ও সর্দিজ্বরের উপসর্গ একই হওয়ায় এই দুই রোগের মধ্যে পার্থক্য করা অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই পরীক্ষা ছাড়া এ ক্ষেত্রে বোঝার উপায় নেই। তবে বছরব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ নজরদারি করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রতিবেদনে বলছে, সারা দেশের ১০টি বিভাগীয় হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা ৫০৬টি নমুনার মধ্যে কোনও প্রকার ফ্লুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।  যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চার ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে এ, বি, সি এবং ডি ইনফ্লুয়েঞ্জা। এ এবং বি ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতি শীতকালে মানুষের মধ্যে রোগের মৌসুমি মহামারি সৃষ্টি করে, জেটি ফ্লু মৌসুম হিসেবে পরিচিতি। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস হচ্ছে একমাত্র ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা ফ্লু মহামারি সৃষ্টি করতে পরিচিত। আজকাল এটি গরমকালেও হচ্ছে।  
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত গণমাধ্যমকে বলেন,  আইইডিসিআর সারভেইলেন্স করে দেখেছে যে ১ থেকে ২ শতাংশ মানুষের মধ্যে তা হয়। নতুন ধরনে দেখা যাচ্ছে যে সংক্রমণের পর আমাদের গলার সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। যার জন্য কাশি তৈরি হচ্ছে। আবার অনেকের আগে থেকে এলার্জি কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে হচ্ছে। সুতরাং সুনির্দিষ্ট করে বলা খুব কঠিন, কেন হচ্ছে।

news24bd.tv/ডিডি